Thank you for trying Sticky AMP!!

সম্রাট হাসপাতালে, দুদকের মামলার শুনানি পিছিয়েছে

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, সম্রাট অসুস্থ। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাই তাঁকে আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।

দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দুদকের মামলার আসামি সম্রাটকে আদালতে হাজির না করায় আগামী ১০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ টাকা তিনি পাচার করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
উচ্চ আদালতে জমা দেওয়া সিআইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্রাটসহ ১২ ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠান ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৮ টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তাঁর সহযোগী যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে তাঁদের ঢাকায় আনা হয়। এরপর সম্রাটকে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‍্যাব। সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়া যায়। এ ঘটনায় র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেদিন তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। আটকের সময় মদ্যপ থাকায় সম্রাট ও আরমানকে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়।