Thank you for trying Sticky AMP!!

সরকার দেশকে স্বৈরশাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে: নুরুল

ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে স্বৈরশাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক। দেশে আজ কেউই নিরাপদ নয়, এমন অভিযোগ করে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শুক্রবার রাতে রাজধানী ঢাকার পল্টন মোড়ে এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নুরুল হক এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগরের বহদ্দারহাটের একটি হোটেলে ওই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ নুরুলদের।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগরে ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরিচিতিপর্বের জন্য আমাদের সহযোদ্ধারা শুক্রবার একটি রেস্টুরেন্টে সমবেত হয়েছিলেন। সেখানে ছাত্রলীগ-যুবলীগ তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পুলিশ তাঁদের থানায়ও নিয়ে যায়।’
নুরুল অভিযোগ করেন, ‘সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে হামলা চালানো হয়েছে। তারা এর আগে আমাদের ওপর হামলা করেছে, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নার ওপরও হামলা করেছে। সারা দেশে দুর্বৃত্তায়ন ও দুঃশাসন চলছে। এর জাঁতাকলে আজ দেশের সব মানুষ পিষ্ট হচ্ছে।’

নুরুল বলেন, ‘আমরা কেউই আজ নিরাপদ নই। আমার আহ্বান থাকবে, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই অবৈধ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই সরকারকে আমরা বলতে চাই, এরশাদ, আইয়ুব খান—কেউই কিন্তু চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। আপনারা যে জুলুম শুরু করেছেন, দুঃশাসনের যে স্টিম রোলার চালাচ্ছেন, আপনাদের পতনও ঘনিয়ে এসেছে।’

কর্মসূচিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান আমাদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ও তার প্রশাসন সাধারণ জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতি করার অধিকার হরণ করছে। দেশের ভালো মানুষগুলোকে থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে।’
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহ, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে পল্টন মোড় থেকে মিছিল নিয়ে বিজয়নগর মোড়ে গিয়ে তাঁরা কর্মসূচি শেষ করেন।