Thank you for trying Sticky AMP!!

সাকরাইন প্রস্তুতির ধুম

আর কদিন পরেই বাংলা পঞ্জিকামতে পৌষ মাসের শেষের দিন। বর্তমানে ‘পৌষসংক্রান্তি’ শুধু ‘সংক্রান্তি’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে; আসলে সংক্রান্তি শব্দটিই লোকমুখে সাকরাইন হয়ে গেছে। উৎসবটি মূলত এখন সর্বজনীন হয়ে গেছে। পুরান ঢাকায় দিনটি ঘুড়ি উৎসব হিসেবেই বেশি পরিচিত। এদিন পুরান ঢাকার প্রায় সব বাড়ির ছাদে দিনভর চলে ঘুড়ি ওড়ানো আর কাটাকাটির খেলা। সঙ্গে নাচ-গান আর শীতের পিঠাপুলি খাওয়া তো চলেই। সন্ধ্যায় শুরু হয় আতশবাজি আর কেরোসিন মুখে নিয়ে আগুনের হল্কা ছোড়ার কসরত। পুরান ঢাকার সূত্রাপুর, মিলব্যারাক, হাজারীবাগ, সদরঘাট, নবাবপুর, লালবাগ, চকবাজার, বংশাল, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া ও পোস্তগোলা এলাকার মানুষ এখনো সাকরাইন উৎসব উদ্‌যাপন করে থাকে। পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারে শুরু হয়ে গেছে ঘুড়ি, সুতা আর নাটাই বিক্রির ধুম।

বাহারী নকশা ও ডিজাইন করা ঘুড়ি কিনতে এই দুই তরুণ শাঁখারীবাজার এলাকায় এসেছেন ওয়ারী থেকে
আছে নানা সাইজের নাটাইও। ছুটির পর বাসায় যাওয়ার পথে ঘুড়ির দোকানে এসেছে দুই শিক্ষার্থী
আগের অবশ্য সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার প্রস্তুতির যে উত্তেজনা, তা এখন পাওয়া যায় না। চীনের কিংবা দেশের তৈরি মাঞ্জা করা রেডিমেড সুতা এবার নাটাইয়ে পেঁচিয়ে নিলেই হলো
কাঠের নাটাইয়ের চেয়ে এখন স্টিলের নাইয়ের চলও বেশ। দাম পড়ছে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা
ঘুড়ির আছে হরেক রকমের বাহারি নাম—চোখদার, পানদার, বলদার, দাবাদার, লেজওয়ালা, পতঙ্গ প্রভৃতি