Thank you for trying Sticky AMP!!

সেফুদার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে

আদালত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সেফায়েত উল্লাহ মজুমদার ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে। আগামী ৪ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন। এ মামলায় পলাতক সেফায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

ধর্ম অবমাননা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল আলিম আল রাজি নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে সেফায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর সিটিটিসির উপপরিদর্শক পার্থপ্রতিম ব্রহ্মচারী ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর আদালত সেফায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। পরে ২৩ নভেম্বর আদালত সেফায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামি সেফায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের শুনানির দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদী ও আইনজীবী আল আমিন রাজী আদালতে হাজির ছিলেন। তবে সাক্ষ্য দেওয়ার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পলাতক আসামি সেফায়েত উল্লাহ বিদেশে অবস্থান করছেন। তিনি অনলাইনে একাধিক ভিডিও আপলোড করেছেন। তিনি তাঁর সব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন; প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ।

এ মামলায় পুলিশ সাক্ষী হিসেবে সেফায়েতের স্ত্রী নাসরিন আক্তার ও হিরো আলমের ১৬১ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেছে।