Thank you for trying Sticky AMP!!

স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বাড়ানোর দাবি

স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়ে ১২% ও জিডিপির ৩% করার দাবি জানানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ অপ্রতুল উল্লেখ করে তা বাড়িয়ে ১২% ও মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩% করার দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানায়। ‘জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০: স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত মূল্যায়ন’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনটি করা হয়।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি ও জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক রশিদ-ই মাহবুবের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মতিন, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সাধারণ সম্পাদক কাজী রকিবুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ নাজমুন নাহার, জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ফয়জুল হাকিম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭ কোটি ও উন্নয়ন ব্যয় ৯ হাজার ৯৩৬ কোটি এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ব্যয় বাবদ ৩ হাজার ৪৫৭ কোটি ও উন্নয়ন ব্যয় ২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। সুতরাং স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ মোট জাতীয় বাজেটের ৪ দশমিক ৯২% এবং জিডিপির ০ দশমিক ৮৯%। সেই হিসাবে এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জনপ্রতি বরাদ্দের পরিমাণ বছরে মাত্র ১৪২৭.৭৭ টাকা।

রশিদ-ই মাহবুব বলেন, ‘২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা দেশের জনগণের চিকিৎসার জন্য মোটেও যথেষ্ট বাজেট নয়। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো ছাড়া সুষ্ঠু চিকিৎসা আশা করা সম্ভব নয়।’ সরকার বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে যে বরাদ্দ দিয়েছে, তা জনগণ ও ডাক্তারদের মধ্যে উত্তেজনা ও গন্ডগোল আরও বৃদ্ধি করবে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।

সীমিত বাজেটে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানের বেতন দেওয়ার পর ওষুধসহ অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে মনে করেন রশিদ-ই মাহবুব।

স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের প্রণোদনা দেওয়া, ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ এবং আবাসন ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া, এসডিজি অর্জনের অঙ্গীকার অনুযায়ী দেশের সব নাগরিকের জন্য ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ নিশ্চিত করা, মানসম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরও পদ সৃষ্টি করে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ করা, চিকিৎসক ও নার্সদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণ এবং দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে মেডিকেল শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।