Thank you for trying Sticky AMP!!

৫ জঙ্গিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

আদালত

ব্লগার নাজিমউদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ পাঁচজনকে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আজ বুধবার এ আদেশ দেন। আগামী ২৫ জুলাই মামলার শুনানির নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম ছারোয়ার খান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জিয়াউল হক ছাড়াও অপর যে চারজনকে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন মো. ওয়ালি উল্লাহ ওরফে ওলি, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে কনিক, জুনেদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ ও আকরাম হোসেন।

গোলাম ছারোয়ার খান বলেন, এ মামলায় পলাতক রয়েছেন জিয়াউল হকসহ পাঁচজন। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, আদালত এর আগে জিয়াউলসহ পাঁচজনের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন। আর তাঁদের হাজির হয়ে বিচারের মুখোমুখি হতে গত ১০ মে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। তবে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি। তাই আজ পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র নাজিমউদ্দিন ক্লাস শেষে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে হামলার শিকার হন। পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে তাঁকে হত্যা করেন। হত্যার পর দুর্বৃত্তরা দুটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়।

মামলায় ২০২০ সালের ২০ আগস্ট জিয়াউল হকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলায় রশিদ উন নবী, মোজাম্মেল হোসাইন সায়মন, আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আবদুল্লাহ নামের চারজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। চারজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে ওই চারজন বলেছেন, অনলাইনে লেখালেখি করার কারণে নাজিমউদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

২০১৬ সালের অক্টোবরে রশিদ উন নবীকে গ্রেপ্তার করার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) তৎকালীন প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, নাজিমউদ্দিনকে হত্যার আগে তিন মাস ধরে পরিকল্পনা সাজায় জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম। নাজিমউদ্দিন মেসে থাকতেন। তাই সেখানে গিয়ে খুন করা সম্ভব নয় বলে যাওয়া-আসার পথে তাঁকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় গোষ্ঠীটি। পরে ওই বছরের ৬ এপ্রিল রাতে পাঁচজন মিলে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেন।