Thank you for trying Sticky AMP!!

'আক্রান্ত ব্যক্তির ছয় ফুটের মধ্যে থাকলে হতে পারে করোনা'

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ছয় ফুটের মধ্যে অবস্থান করা সুস্থ ব্যক্তিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এমনটাই জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (এনআইপিএসওএম) প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদা খানম।

মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে ফাহমিদা খানম কিনোট স্পিকার হিসেবে এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের আয়োজনে ‘এমারজেন্স অ্যান্ড আউট ব্রেক অব নভেল করোনাভাইরাস: অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড প্রিকিউশন’ শীর্ষক এই সেমিনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত হয়।

ফাহমিদা খানম বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে আরেকজন ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারেন। আক্রান্ত ব্যক্তির ছয় ফুটের মধ্যে থাকা একজন সম্পূর্ণ সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে এ ভাইরাসের জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি একটি জীবনঘাতী ভাইরাস। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য সারা দেশে ব্যাপকভাবে প্রচার চালাতে হবে।’

ফাহমিদা খানম আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, জ্বর-সর্দি অনুভব করলে মাস্ক ব্যবহার করা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, অপরিষ্কার হাত দিয়ে নাক, মুখ না ছোঁয়া এবং কোনো ধরনের অসুস্থতাকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।’

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শুভ্র কান্তি দে বলেন, ‘২০১৯-এর করোনাভাইরাসের জিনোমিক সাইজ ২৯ কিলোবেস, যা ১৯৬০ সালে আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের সঙ্গে ৮৮ শতাংশ মিলে যায়। কিন্তু কোনো ভাইরাস যদি তাঁর পূর্বের শনাক্তকৃত ভাইরাসের চেয়ে ৯৪ শতাংশের কম মিল থাকে, তাহলে তাকে নভেল ভাইরাস বলা হয়।’

ইনস্টিটিউট অব ইপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর) টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ মুশতাক হুসাইন বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি। বাংলাদেশ সরকার করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এ সময় চীন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকাই ভালো।’

সেমিনারে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সভাপতি তাজউদ্দিন শিকদার সভাপতিত্ব করেন।