Thank you for trying Sticky AMP!!

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস

জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জ হবে নান্দনিক উদ্যান: মেয়র তাপস

রাজধানীর পান্থকুঞ্জকে আগামী জুলাইয়ের আগে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার সকালে কারওয়ান বাজার মোড়ে অবস্থিত পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এ কথা জানান।

দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, পান্থকুঞ্জ এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটির উন্নয়নে ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে পার্কের উন্নয়নকাজ বন্ধ হয়ে যায়।

মেয়র তাপস বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের (কর্তৃপক্ষের) সঙ্গে আলোচনা করেছি, দেনদরবার করেছি। ফলে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরা কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।’

মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি, তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়নকাজ চলছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।’

এদিকে নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে, বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি, এবার আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।’

নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘পিলখানার ভেতর দিয়ে আগে যে পানিপ্রবাহের নর্দমা ছিল, তা ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলাবদ্ধতা হয়। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি ও সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানিপ্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।’

Also Read: নকশা বদলে পান্থকুঞ্জ পার্ক চালুর উদ্যোগ

ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোনো জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমা পরিষ্কার করে থাকি; যাতে বর্ষায় পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এ ছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি।’

পরে সায়েদাবাদ টার্মিনাল–সংলগ্ন সায়েদাবাদ সুপার মার্কেট, গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পাঠাগার ও ওয়ারীর তাজউদ্দীন স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন মেয়র।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-১–এর নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের, নির্বাহী প্রকৌশলী সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুঁইয়া, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।