Thank you for trying Sticky AMP!!

আ.লীগের হামলা–পুলিশের লাঠিপেটার পর বিএনপির নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

লাঠি হাতে সমাবেশস্থলে মহড়া দেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাধা ও হামলায় রাজধানীর পল্লবীতে সমাবেশ পণ্ডের পর বিএনপির ৭৫ জন নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ। অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম এই মামলা করেন।

পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহাদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় বেআইনিভাবে দাঙ্গা সৃষ্টি, পুলিশের কাজে বাধা এবং জখম ও ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি জসিম রানাও রয়েছেন। এই সাতজনের বাইরে আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতা–কর্মীরা হলেন ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব আশরাফুল হোসেন মাসুম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আকরাম আহমেদ, মিরপুরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাদশা মিয়া, সাবেক সভাপতি সোহরাব মিয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. কামাল এবং পল্লবী থানা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. রিমন রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় মিরপুর ৬ নম্বর কাঁচাবাজারের পশ্চিম পাশে মুকুল ফৌজ মাঠে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। সোয়া দুইটার দিকে ওই মাঠে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করার কিছু সময় পরেই ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। একপর্যায়ে তাঁরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পাল্টা হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এমন পরিস্থিতি চলে প্রায় ৪০ মিনিট। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং লাঠিপেটা করে।

Also Read: মিরপুরে আ.লীগের বাধায় সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হামলায় তাঁদের ৬২ জন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। ৮ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।