Thank you for trying Sticky AMP!!

রোজায় এবার গতবারের চেয়ে বাড়তি দামে দুধ-ডিম-মাংস বেচবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর

দুধ, ডিম, মাংস

দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বহু মানুষ দুধ, ডিম, মাংস কেনার সক্ষমতা হারিয়েছেন। যারা এখন এগুলো কিনতে পারছে, তাদের বড় অংশই পরিমাণ কমিয়েছে। এ অবস্থায় আসন্ন পবিত্র রমজানে ঢাকা শহরের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ যেন দুধ, ডিম, মাংস খেতে পারে তার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তবে অধিদপ্তর গত রোজার তুলনায় এবার বাড়তি দামে এসব পণ্য বিক্রি করবে। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে এসব পণ্য তারা বিক্রি করবে।

১ থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত ‘সুলভ’ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি কার্যক্রম আগামীকাল বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলে তাঁর মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় জানায়, এবার রমজান মাসে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হবে।

গত রোজায় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার মাংস প্রতি কেজি ২০০ টাকা, পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা এবং ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকায় বিক্রি করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

অর্থাৎ, গতবারের তুলনায় এবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর গরুর মাংস কেজিতে ৯০ টাকা, খাসির মাংস কেজিতে ১৪০, ড্রেসড ব্রয়লার কেজিতে ১৪০, দুধ লিটারে ২০ এবং ডিম হালিতে ১০ টাকা করে বাড়তি দামে বিক্রি করবে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. এমদাদুল হক তালুকদারকে ফোন করলে তিনি ধরেননি।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে অধিদপ্তরটির পরিচালক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দুধ, ডিম, মাংস কৃষক ও প্রতিষ্ঠানদের কাছ থেকে কিছুটা কম দামে কেনে। বাজারদরের চেয়ে যতটা পারা যায় কম দামে তা বিক্রি করে। সবকিছুর দাম বাড়ায় এবার কৃষকদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে কৃষক পর্যায়েও এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। যার জন্য গতবারের চেয়ে এবার এসব পণ্যের দাম একটু বেশি পড়বে।

কোথায় বিক্রি হবে

গত রমজান মাসের তুলনায় এবার এসব পণ্য বিক্রির স্থানের সংখ্যা বাড়িয়েছে অধিদপ্তর। এবার তারা ঢাকার ২০টি স্থানে দুধ, ডিম, মাংস বেচবে। স্থানগুলো হলো সচিবালয়সংলগ্ন আবদুল গণি রোড, খামারবাড়ি, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ষাট ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, মিরপুরের কালশী, খিলগাঁও রেলগেট, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুরের বছিলা, উত্তরার দিয়াবাড়ি, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, হাজারীবাগ, বনানীর কড়াইল বস্তি, কামরাঙ্গীরচর ও রামপুরা।

Also Read: রমজানে ঢাকার ২০ স্থানে সুলভে মাংস-ডিম-দুধ বিক্রি করবে সরকার