Thank you for trying Sticky AMP!!

গ্রেপ্তার

ধানমন্ডিতে পারলারে গোপন ক্যামেরা: শাখার মালিক গ্রেপ্তার

‘উইমেন্স ওয়ার্ল্ড’ বিউটি পারলারের ধানমন্ডি শাখায় গোপনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, স্পর্শকাতর ভিডিও ধারণ ও সংরক্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম ফারনাজ আলম (৩২)। তিনি পারলারের ধানমন্ডি শাখার মালিক।

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আবু তালেব প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ফারনাজ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পারলারের মালিক তাসলিমা চৌধুরী কনা আলম (৫৭) এখনো পলাতক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধানমন্ডির এই পারলারে সেবা নেওয়া অনেক নারীর ভিডিও গোপন ক্যামেরার ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডারে (ডিভিআর) পাওয়া গেছে। বেআইনি পন্থায় এসব ভিডিও ধারণ, সংরক্ষণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, তাঁরা ছয় মাস আগে পারলারে সিসিটিভি ক্যামেরা বসান। কোনো ভিডিও ফুটেজের অপব্যবহার হয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত চলছে।

ভুক্তভোগী এক নারীর মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডে অবস্থিত পারলারটিতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন, পারলারের মহাব্যবস্থাপক তসলিম আরিফ ওরফে ইলিয়াস (৫২), প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক ইমাদুল হাসান (৫৩) ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাপক এম এইচ জুয়েল খন্দকার (৩৩)।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পারলারটি থেকে গোপন ভিডিও ধারণ-সংরক্ষণের আলামত জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে পারলারে সেবা নিতে আসা নারীদের আপত্তিকর-স্পর্শকাতর ভিডিও অসৎ উদ্দেশ্যে ধারণ-সংরক্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।