Thank you for trying Sticky AMP!!

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য দেন তারানা হালিম। ঢাকা, ২৬ মার্চ

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যাঁরা ধর্ষণ করেন, তাঁদের তালিকা প্রকাশের দাবি

মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা দলবদ্ধ ধর্ষণে মত্ত ছিলেন, তাদের একটি তালিকা তৈরির দাবি জানিয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তারানা হালিম। মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এই দাবি জানান তিনি।

‘একাত্তরের গণহত্যা: ইতিহাসের দায় ও আমাদের দায়িত্ব’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারানা হালিম বলেন, একটা পক্ষের বিকৃত চিন্তা–চেতনার কারণে আগে মুক্তিযুদ্ধের মিথ্যা ইতিহাস চর্চা হয়েছে। এই গোষ্ঠী আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করার জন্যই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও সম্ভ্রমহানির শিকার নারীর সংখ্যা ভুল প্রচার করে। যে কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম ও কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর।

সাদেকা হালিম বলেন, যুদ্ধের সময় যারা বিরোধিতা করেছিলেন, তারাই রাজনৈতিক অপব্যাখ্যার মাধ্যমে সংখ্যাতাত্ত্বিক অপপ্রচার করেই যাচ্ছে। এ কারণে ৫০ বছর পরেও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আনতে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষে পাঠ্যপুস্তকে গণহত্যা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ বিষয়ে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অংশীজনদের আরও সক্রিয় হতে হবে। গণহত্যা নিয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে।

মুখ্য আলোচক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক আবদুস সামাদ বলেন, গণহত্যাকে অস্বীকার করা যাবে না। এ–সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাশরিক হাসান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।