Thank you for trying Sticky AMP!!

আমেরিকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য আবার প্রণোদনা আসছে

মার্কিন সিনেট আমেরিকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার জন্য আরেকটি অর্থ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ২১ এপ্রিল সিনেটে প্রায় ৪৮০ বিলিয়ন ডলারের এ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ২৩ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ কংগ্রেসে এ অর্থ প্রস্তাবটি পাশ হলে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তা আইনে পরিণত হবে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আরোপ করা লকডাউনের কবলে পড়া আমেরিকার বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এ অর্থ বরাদ্দের মধ্য দিয়ে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই পে চেক প্রটেকশন সুবিধার জন্য এর মধ্যে আবেদন করেছেন। অনেকেই আবেদন করার আগে প্রথম দফা বরাদ্দের অর্থ শেষ হয়ে গেছে। নতুন এ অর্থ বরাদ্দ আইন পাস হলে আগামী সপ্তাহ থেকে আবার ব্যাংকগুলো আবেদন গ্রহণ করবে এবং আগে করা আবেদনগুলো সুরাহা করার উদ্যোগ নেবে বলে জানানো হয়েছে। স্মল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এসবিএ বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যেম এসব আবেদন সুরাহা করছে।
২৫ পৃষ্ঠার অর্থ প্রস্তাবে ৪৮০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৩১০ বিলয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য। প্রথম দফা অর্থ বরাদ্দের মধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেওয়ার আগেই আমেরিকার বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে চলে গেছে বরাদ্দের সব অর্থ। এ দফা অর্থ বরাদ্দের মধ্যে ৭৫ বিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবীদের জন্য। এ অর্থের অতিরিক্ত আরও ২৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দে রাখা ৩১০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলার ক্ষুদ্র ঋণদাতা ও ক্রেডিট ইউনিয়নের মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য রাখা হয়েছে। ১০ বিলিয়ন রাখা হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের অনুদান হিসেবে দেওয়ার জন্য।
সিনেটে ডেমোক্রেট দলের নেতা চার্লস শুমার বলেছেন, বিপর্যস্ত জনগণের সহযোগিতার জন্য তাঁরা আরও রিলিফ প্যাকেজের উদ্যোগ নেবেন। আমেরিকার ইতিহাসে নাগরিকদের জন্য এমন সরকারি অর্থ সাহায্য আর কখনো দেওয়া হয়নি। দেশটিও এমন নাজুক অবস্থায় পড়েনি কখনো। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২১ এপ্রিল বলেছেন, এরপর স্থানীয় সরকারগুলোর সহযোগিতার জন্য অর্থ বরাদ্দ নিয়ে তিনি কাজ করবেন।
সিনেটে রিপাবলিকান নেতা রোন্ড পল বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে এর মধ্যেই দুই ট্রিলিয়ন ডলার চলে গেছে। ক্রমাগত এমন বেইল আউট অর্থনীতিকে চাঙা করবে না। অর্থ অনুদান নয়, ব্যবসা-বাণিজ্য চালু না হলে কোনো চাঞ্চল্য আসবে না। অর্থনীতির সমস্যাগুলো সমাধানে সবকিছু খুলে দিতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের বেশিরভাগ এলাকা খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে রাজ্য গভর্নরদের নির্দেশনা দিয়েছেন। ৪০টি রাজ্য বিভিন্ন ধাপে খুলে দেওয়ার জন্য সতর্ক প্রস্তুতি শুরু করছেন রাজ্য নেতারা।