Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনা মোকাবিলা: ডেটানির্ভর প্রযুক্তি ও ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তা

করোনা মহামারির এই সময়টাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে গেছে ডেটা ও প্রযুক্তির ব্যবহার। বিভিন্ন ওয়েবসাইট আর মোবাইল অ্যাপসে জনগণ নিজদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য দিয়ে যাচাই করে নিচ্ছে, তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। নানান ধরনের তথ্য থেকে আবার ম্যাপ তৈরি করে দেখানো হচ্ছে দেশের কোন এলাকায় সম্ভাব্য ও নিশ্চিত রোগীর সংখ্যা কত। সঙ্গে থাকছে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফ, চার্ট, আর তুলনামূলক বিশ্লেষণ, যা থেকে সবাই জানতে পারছে এই মহামারির প্রকোপ সম্পর্কে। এ রকম বহু প্রযুক্তি আমাদের চারপাশে আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি, যেগুলো মানুষের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে নানা রকম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ‘বিগ ডেটা’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জানাতে পারছে করোনা থেকে বাঁচার নানা রকম কৌশল।

অন্যদিকে, এই প্রযুক্তিগুলো থেকে নীতিনির্ধারকেরা জানতে পারছেন, দেশের কোন জায়গায় কী ধরনের সাহায্য প্রয়োজন হচ্ছে বা ভবিষ্যতে হতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান বিশ্বে এর সব কটিই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত। কারণ, আজকাল ‘ইনফরমেশন ইজ পাওয়ার’, অর্থাৎ ‘তথ্যই শক্তি’। পর্যাপ্ত পরিমাণ ডেটা সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে বা নীতিমালা তৈরি করতে পারলে সেটি হয়ে ওঠে আরও কার্যকর, আরও ফলপ্রসূ।

কিন্তু এর সঙ্গে এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে একই ডেটা সঠিকভাবে সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা না হলে তা হয়ে উঠতে পারে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মারাত্মক ক্ষতির কারণ, হয়ে উঠতে পারে তাদের মানসিক কিংবা সামাজিক হেনস্তার উপলক্ষ। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সেবা ও নীতিনির্ধারণে অনেক সময় ব্যক্তির স্বাস্থ্য, অবস্থান, বাসস্থান, পরিবার, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ইতিহাস, দাম্পত্য সম্পর্ক, অর্থনৈতিক অবস্থা, ইত্যাদি নানা গোপনীয় ও সংবেদনশীল তথ্য ব্যবহার করা হয়। এসব তথ্য বাইরের কেউ জেনে গেলে একজন মানুষের নানা রকম মানসিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। তাই এসব তথ্য স্বাস্থ্য গবেষকেরা সংগ্রহ করেন প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি চুক্তির ভেতর দিয়ে, যেখানে নিশ্চিত করা হয় এসব ডেটা থেকে ব্যক্তিগত কোনো তথ্য প্রকাশ পাবে না এবং যারা তথ্য দিচ্ছে, তাদের ক্ষতির কোনো আশঙ্কা থাকবে না।

ডেটা সংগ্রহ বা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যক্তির কিংবা প্রতিষ্ঠানের সংবেদনশীল তথ্য যেন কোনোভাবেই প্রকাশ না হয়ে যায়, গোপনীয়তা বজায় থাকে বা ‘প্রাইভেসি’ সুরক্ষিত থাকে, সেটিকে নিশ্চিত করতে পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রাতিষ্ঠানিক এবং কার্যকর ‘এথিকস’ বোর্ড রয়েছে। এই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া শুধু গবেষণা বা জনস্বাস্থ্যসেবা–সম্পর্কিত কাজের নৈতিকতা বজায় রাখার জন্যই প্রয়োজন না, বরং বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এই বিষয় এখন একটি আইনগত বাধ্যবাধকতা।

আমরা এ কথা অনুধাবন করতে পারি যে করোনাকবলিত এই বিশ্বে এখন জীবন বাঁচানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, দুর্দশাকবলিত মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াটাই এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। কিন্তু সে একই সহায়তার হাত যদি তাদের প্রাইভেসির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেও করতে পারা যায়, তাহলে কেন নয়? আমরা বলতে চাই, এই বিপদের মুহূর্তেও যদি তাদের তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়, সেটিও তাদের একধরনের সহায়তা করা বলেই বিবেচিত হতে পারে।

এ ছাড়া ব্যক্তিগত এবং সংবেদনশীল তথ্যের গোপনীয়তা এমন একটি বিষয়, যার ওপরে অনেক সময় একজন মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্ভর করে। একজন মানুষকে মহামারি থেকে বাঁচাতে গিয়ে তাকে আরেকভাবে বিপদে ফেলা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তাকে ধরা হয় গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান হিসেবে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ইতিমধ্যেই বলেছেন, করোনা–পরবর্তী বিশ্ব পুনর্নির্মাণে গণতন্ত্র অপরিহার্য। তাই আমরা এই সংকটকালে ব্যক্তিতথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে সংকট–পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামো পুনর্নির্মাণে অনেক পিছিয়ে পড়ব।

তবে এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রাসঙ্গিক হবে, সব সময় ইচ্ছাকৃতভাবে যে প্রাইভেসি লঙ্ঘন করা হয়ে থাকে তা নয়, বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কীভাবে প্রাইভেসি লঙ্ঘন করা হচ্ছে, সেটি বুঝতে না পারার কারণে অজান্তেও ব্যাপারটি ঘটে থাকতে পারে। কয়েকটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারগুলো বুঝতে সুবিধা হবে। তাই আমরা আলোচনার পরের অংশে যাওয়ার আগে দুটি কল্পিত উদাহরণ বিবেচনা করি—

১.
ধরা যাক, একটি প্রতিষ্ঠান নিম্নবিত্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য একটি ওয়েবসাইটে বিশেষ কিছু এলাকার নিম্নবিত্ত মানুষের তথ্য ম্যাপের মাধ্যমে উপস্থাপন করল। ম্যাপের কোনো বিশেষ বিন্দুতে ক্লিক করলেই, সেখানকার নিম্নবিত্ত পরিবারের মাসিক আয়, পরিবারের সদস্য সংখ্যাসহ বেশ কিছু তথ্য ফুটে ওঠে। এই ওয়েবসাইট আসলেও কাজে আসবে। যেমন, এটির মাধ্যমে কোন এলাকায় নিম্নবিত্ত পরিবারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, সেটি নির্ণয় করে সেখানে সাহায্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা যাবে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে, খুবই নির্ভেজাল এবং চমৎকার একটি সিস্টেম, যেখানে পরিবার সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু সে পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। কিন্তু এখানে প্রাইভেসি কীভাবে লঙ্ঘন হচ্ছে, সেটা আমাদের বোঝা দরকার।

পারিবারিক এই ধরনের এলাকাভিত্তিক ডেটা ন্যাশনাল আইডি, জন্ম নিবন্ধন বা এই ধরনের অন্য কোনো ডেটাবেইসেও থাকতে পারে। সেখান থেকে ম্যাপের ওই বিশেষ বিন্দুতে থাকা পরিবারের সদস্য সংখ্যা মিলিয়ে কোনো পরিবারের কথা বলা হচ্ছে এবং সেই পরিবারের বিস্তারিত অন্যান্য তথ্য বের করা অসম্ভব কিছু না। এই তথ্যগুলো অসতর্কতাবশত সবার কাছে ছড়িয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের নানা ধরনের নিরাপত্তার প্রশ্নও চলে আসে।

২.
ধরা যাক, একটি মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন আপনি কোথায় আছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন, কার আশপাশে আছেন, সেটার হিসাব রাখছে। আপনি যদি কখনো করোনায় আক্রান্ত হন, সে আপনার সঙ্গে যারা যারা ছিল, তাদের সবাইকে সতর্ক করে দেবে। এ ছাড়া আপনি যেসব জায়গায় গিয়েছেন, সেখানে আপনার আগে পরে যারা যারা গিয়েছে, তাদেরও সতর্ক করে দেবে। এর পাশাপাশি আপনি করোনায় আক্রান্ত হলে কোনোভাবেই যেন ঘর থেকে বের হতে না পারেন, সেটিও নিশ্চিত করতে পারে এই অ্যাপ। আপনি ঘর থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্বে গেলেই হয়তো সেটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়ে দিতে পারে।

আপাতদৃষ্টিতে এই অ্যাপ জনকল্যাণমূলক মনে হলেও এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা হারানোর ঝুঁকি থাকছে অনেক বেশি। এটি আপনার অবস্থান, আপনি কোথায় কোথায় যান, তা থেকে শুরু করে কার কার সঙ্গে মেশেন, সবকিছুই জেনে যাচ্ছে। এসব তথ্য ব্যবহার করে একজন মানুষকে বিপদে ফেলা খুব কিন্তু কঠিন না। তা ছাড়া, এসব তথ্যের ওপরে আরও বিশ্লেষণ চালিয়ে আপনার দৈনন্দিন জীবন কেমন, আপনার পছন্দ-অপছন্দ কী রকম ইত্যাদিও বের করে ফেলা অসম্ভব না। সেই তথ্যগুলো ব্যবহার করে কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য আপনার কাছে বিক্রির জন্য চেষ্টা করতে পারে। আপনি হয়ে যেতে পারেন নানা ধরনের কোম্পানির বাণিজ্যিক টার্গেট।

ওপরের দুটি উদাহরণ থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, করোনাভাইরাস মোকাবিলার মহৎ উদ্দেশ্যে তৈরি একটি প্রযুক্তিও ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা হারানোর ঝুঁকিতে ফেলতে পারে সাধারণ মানুষকে। এ রকম আরও অসংখ্য উদাহরণ দেখানো যেতে পারে। ডেটানির্ভর প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তার এই টানাপোড়েন অনেক দিনের। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরে নতুন নতুন ডেটানির্ভর প্রযুক্তি আসা শুরু করায় এই বিতর্ক আবারও সামনে চলে এসেছে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়। এখানে একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাসংক্রান্ত একজন নাগরিকের অধিকার নির্ভর করে ওই নাগরিকের দেশের আইন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার ওপর।

পৃথিবীর অনেক দেশে সরকারের চাপের মুখে নাগরিকেরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে পারে না। সরকারি ও বেসরকারি নানা উদ্যোগে জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার উদাহরণও রয়েছে পৃথিবীর নানা দেশে। তাই একটি ডেটানির্ভর প্রযুক্তি বিশ্বের একটি দেশে ‘সাফল্যের সঙ্গে’ চললেই অন্য একটি দেশে যে সেটা চলবে, এমন মনে করা ঠিক হবে না। প্রতিটি দেশকে তাদের নিজেদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা অনুযায়ী প্রযুক্তি তৈরি করতে হবে এবং সেসব অনুযায়ীই দেশের জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এই সংকটকালীন মুহূর্তে বিশ্বের বড় গবেষকেরা তাই জোর দিচ্ছেন ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তা বজায় রেখেই কীভাবে ডেটানির্ভর প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়, সেই ব্যাপারে। ইতিমধ্যেই ব্যক্তিগত তথ্যের পরিবর্তে সামষ্টিক তথ্য নিয়ে কীভাবে সার্ভিসগুলো ডিজাইন করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় চলে এসেছে কারা তথ্য সংগ্রহ করছে, কোথায় তথ্যগুলো কীভাবে করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে এবং কী কী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেসব ব্যাপারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির। সংরক্ষিত তথ্য করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করে ফেলারও বাধ্যবাধকতাও আসছে অনেক ক্ষেত্রে।

১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের প্রযুক্তির ব্যবহার ও এ–সংক্রান্ত নানা রকম ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা করছি। তাঁর আলোকে আমরা বলতে পারি, আমাদের দেশে অনেক সময় ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার প্রভাব ব্যক্তির পাশাপাশি তাঁর পরিবার, এলাকা ও সমাজের ওপরে পড়ে। তাই সামষ্টিক তথ্যের গোপনীয়তাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে দেশব্যাপী বহু গবেষক, বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া অবলম্বন করছে। আমাদের প্রত্যাশা, তাদের এই তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপনের সময়, তারা তাদের বিবেচনার মধ্যে ধর্ম-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সবার প্রাইভেসি, তথ্য সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখার বিষয়গুলো মাথায় রাখবে।

সবশেষে আমরা বলতে চাই, ডেটানির্ভর প্রযুক্তি ও ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তার এই টানাপোড়েনের ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের করোনার পরেও কাজ করে যেতে হবে। এই ব্যাপারে আমাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন। যেমন, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তাসংক্রান্ত আইনগুলো নিয়মিত নিরীক্ষণ ও উন্নয়ন করে যেতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

আমাদের দেশে এই তথ্যসংক্রান্ত ঝুঁকি সম্পর্কে অনেক মানুষই অবগত না। তাই তাদের এ ব্যাপারে সতর্ক করাও আমাদের প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে গণযোগাযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সঙ্গে এনজিওগুলো জনগণকে সতর্ক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের স্কুল-কলেজগুলোয় এখন তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে শেখানো হচ্ছে। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের তাদের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে শেখালে সমাজে সচেতনতা বাড়বে বলে আমরা মনে করি।

পাশাপাশি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কম্পিউটার বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, আইন, সমাজবিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিভাগে এ–সংক্রান্ত কোর্স চালু করা যেতে পারে। একই সঙ্গে, দেশে এ–সংক্রান্ত গবেষণা এগিয়ে নেওয়ার জন্য দেশে অবস্থানরত এবং প্রবাসী বাংলাদেশি গবেষকদের মধ্যে সমন্বয় করে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা যেতে পারে।

ড. সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ: কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
ড. বি এম মইনুল হোসেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক