Thank you for trying Sticky AMP!!

নিউইয়র্ক থেকে ফিরে গেছেন মার্কিন সেনা স্বাস্থ্যসেবীরা

য়র্কের কুইন্স হাসপাতালে সেবা দেওয়া শেষে ফিরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মেডিকেল কোরের সদস্যরা। ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত নিউইয়র্কের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে আসা মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের স্বাস্থ্যসেবীরা ফিরে গেছেন। মৃত্যুর মিছিলে দিশেহারা নিউইয়র্কে চিকিৎসা সেবা দিতে স্বাস্থ্যসেবী পাঠিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। এসব চিকিৎসাসেবী পালন করেছেন অনন্য ভূমিকা। মার্চের শেষ সপ্তাহে নিউইয়র্কে এসে চিকিৎসা সেবা দিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এসব কর্মী ২২ মে ফিরে গেছেন।

নিউইয়র্কে আসা মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন কুইন্স হাসপাতালের বাংলাদেশি চিকিৎসক ইউসুফ আল মামুন। প্রথম আলো উত্তর আমেরিকাকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ইউসুফ আল মামুন বলেন, ‘আমাদের একটা সাধারণ ধারণা, অনেক দেশ প্রতিরক্ষার পেছনে অযথা বিশাল বাজেট বরাদ্দ করে। কিন্তু তাঁদের কাজ শুধু যুদ্ধ নয়, দেশের যেকোনো বিপর্যয়ে তাঁদের ভূমিকা অপরিসীম।

এত দিন ঝড়, ভূমিকম্পে তাঁদের ভূমিকা দেখেছি এবার দেখলাম পেনডেমিকে। মার্চ ও এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত কোভিড পেনডেমিকে আমরা যখন হিমশিম খাচ্ছি, তখন নিউইয়র্কে হেলথকেয়ার ওয়ার্কাররা একজনের পর একজন আক্রান্ত হয়ে অনুপস্থিত হচ্ছেন। হাসপাতালের পরিস্থিতি ভীতিকর। তখন আর্মি ও এয়ার ফোর্স মেডিকেল কোরের বিশাল গ্রুপ উপস্থিত হয়ে হাসপাতাল মুখরিত করে তোলে।’

ইউসুফ আল মামুন বলেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মীরা আসায় হাসপাতালগুলো যেন প্রাণ ফিরে পায়। তাঁদের জন্যই কোভিডের অন্যতম হটস্পট নিউইয়র্ক নগরীর জ্যামাইকা এলাকায় সংক্রমিত বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকে। দীর্ঘ এক মাসের বেশি দিন-রাত কাজ করেন এসব সেনাসদস্য। চোখে পড়ার মতো ছিল তাঁদের একাগ্রতা, আন্তরিকতা, দেশপ্রেম এবং প্রাণবন্ত পদচারণ।

‘সবাই চলে যাওয়ার মুহূর্তটি আমাদের জন্য আবেগের ছিল’ বলে উল্লেখ করেন ইউসুফ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘এ যুদ্ধের আমরাও সহযোদ্ধা হিসেবে তাঁদের স্যালুট জানিয়েছি।’