Thank you for trying Sticky AMP!!

আট হাজার টাকায় এক লাখের কড়কড়ে নোট

প্রিন্টারে এভাবে নিখুঁতভাবে জাল নোট তৈরি করা হয়। এমন একটি চক্রের ছয়জনকে গতকাল সোমবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ছবি : সংগৃহীত

মাত্র আট থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। আর তাতেই পাওয়া যায় এক লাখ টাকা। তবে এসব নোট আসল নয়, জাল নোট। একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকার নিখুঁত নোট তৈরি করে বাজারে ছড়িয়ে দিত।

জাল টাকার নোট তৈরির সঙ্গে জড়িত এমনই একটি চক্রের ছয়জনকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরা হলেন সাইফুল ইসলাম (৩১), গিয়াস উদ্দিন (৩৬), আজহার আলী (৩৯), মো. আসিফ (২৭), জীবন বেপারী (২৯) ও ফোরকান (২৭)।

গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কামরাঙ্গীরচরের নবীনগর প্রধান সড়কে আরকে টাওয়ারের ছয় তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবির (উত্তর) সহকারী কমিশনার (এসি) শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানের সময় ওই ফ্ল্যাট থেকে বাংলাদেশের ৫০ লাখ টাকার জাল নোট, জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত দুটি ল্যাপটপ, চারটি প্রিন্টারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

ডিবির এসি শাহিদুল ইসলাম জানান, জাল নোট তৈরির পর এই চক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম প্রথমে পাইকারি বিক্রেতার কাছে প্রতি এক লাখ টাকার জাল নোট আট থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। পাইকারি বিক্রেতারা প্রতি লাখে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাভে বিক্রি করে দেন। দ্বিতীয় পর্যায়ের বিক্রেতারা প্রতি এক লাখ টাকার জাল নোট ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় কিনে সেটি খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। এভাবে খুচরা বিক্রেতারা জাল নোটের মূল্যমান আসল টাকার সমান করে বাজারে ছড়িয়ে দেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ইসলাম ও জীবন বেপারী ডিবিকে জানান, ২০১০ সালে রশিদ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে জাল নোট তৈরির কৌশল শিখে নেন সাইফুল। সাইফুলের তৈরি জাল নোটের ডিলার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন জীবন বেপারী।

ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেপ্তার ছয়জনের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর চর থানায় মামলা হয়েছে।