Thank you for trying Sticky AMP!!

আনোয়ারায় ধর্ষণ মামলার আসামি 'গোলাগুলিতে' নিহত

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নারী শ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামি ‘গোলাগুলিতে’ নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম আবদুল নূর (২৮)। আজ রোববার সকালে উপজেলার চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল সড়কের শেষ প্রান্তে দেয়া পাহাড়ের কাছ থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

আবদুল নূরের বাড়ি উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ, ছিনতাইসহ তিনটি মামলা আছে বলে পুলিশের দাবি। বৈরাগ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো. হানিফ আজ সকালে নূরের লাশ শনাক্ত করেন।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা ডাকাত দলের দুই পক্ষের গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি লাশ উদ্ধার করি। স্থানীয় লোকজন ওই লাশ আবদুল নূরের বলে শনাক্ত করেন। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ তাঁর দাবি, পুলিশ লাশের পাশ থেকে তিনটি ছুরি, একটি এলজি, বুলেটের ব্যবহৃত দুটি কার্তুজ, অব্যবহৃত দুটি কার্তুজ ও তিন বোতল মদ জব্দ করে।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থলের পাশের বাসিন্দা আলী আকবর বলেন (৬২) বলেন, ‘গতকাল শনিবার রাতে খুব গোলাগুলির শব্দ শুনি। কিন্তু খুব বৃষ্টি হচ্ছিল, তাই বের হতে পারিনি। সকালে দেখি পুলিশ লাশ নিয়ে যাচ্ছে।’

গত বুধবার রাতে কারখানার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। তাঁকে রাতে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আনোয়ারায় অবস্থিত কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (কেইপিজেড) জুতা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলায়।

ওই ঘটনায় ওই তরুণীর ভাই চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। গত শুক্রবার রাতে পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ছনহরা গ্রামের হেলাল উদ্দিন (৩০) ও আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ গ্রামের মোহাম্মদ মামুনকে (১৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুজনেই গতকাল শনিবার বিকেলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জয়ন্তী রানী রায়ের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁরা স্বীকারোক্তিতে আবদুল নূর ও মো. শহীদের নাম বলেন।