Thank you for trying Sticky AMP!!

আমিনুল খুলনায় চাকরি করতেন, জানাল পরিবার

গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এলাকায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য সন্দেহে গতকাল শুক্রবার র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলাম ওরফে শান্তের বাড়ি যশোরের মনিরামপুরে। তবে তিনি থাকতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দক্ষিণ নলতা গ্রামে। পুলিশ বলছে, তাঁর বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দাবি, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। খুলনায় চাকরি করতেন।

আমিনুলের মা বিথি বেগম বলেন, আমিনুলের জন্মের পর তাঁর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তিনি তখন যশোর থেকে সাতক্ষীরার তালায় বাবার বাড়ি চলে আসেন। আমিনুল তালা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। ২০১৯ সালে মামাসহ পরিবারের সদস্যদের অমতে সফিকুল মুন্সীর মেয়ে হাবিবা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে আমিনুল শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। বিয়ের কিছুদিন পর ছেলে খুলনায় চাকরি করতে যান বলে তিনি জানান। মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন।

মায়ের ভাষ্য, আমিনুল সর্বশেষ ৫ থেকে ৭ দিন আগে বাড়িতে গিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ি থেকে খুলনায় যাওয়ার কথা বলে বের হন তিনি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি শুনতে পান, তাঁর ছেলে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আমিনুলের স্ত্রী হাবিবা খাতুনের ভাষ্য, তাঁর স্বামী খুলনায় চাকরি করতেন। তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁর স্বামী জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।

তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোজাম্মেল আলী শেখ বলেন, এলাকায় আমিনুলকে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে দেখা যায়নি। সাতক্ষীরায় পড়াশোনা করার সময় কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, তা তিনি বলতে পারবেন না।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি রাসেল আজ শনিবার দুপুরের প্রথম আলোকে বলেন, আমিনুলের বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা নেই। বছরখানেক আগে থেকে তিনি খুলনায় থাকেন।