Thank you for trying Sticky AMP!!

আয়ারল্যান্ডে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা

গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের তিন সদস্য

ইউরোপে উন্নত জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ছয়জনের কাছ থেকে টাকা ও পাসপোর্ট হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এরপর ভুয়া ভিসা দেখিয়ে আবার টাকা দাবি করে চক্রটি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাঁদের কাছ থেকে অভিযোগকারী ৬ জনেরসহ মোট ১৩টি পাসপোর্ট, ২ ল্যাপটপ, ১টি ব্যাংকের চেকবই, ২টি প্লাস্টিকের ভুয়া সিল ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার মতিঝিলে একটি বেসরকারি ব্যাংকের সামনে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই তাদের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শাহীন হাসান (৪৯), তারেক মাহমুদ ওরফে গালিব (২৮) ও বকুল হোসেন ওরফে রতন হাওলাদার (৪৮)। মানব পাচারকারী চক্রের অপর সদস্য মিজান ওরফে শাহেদ ছিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পিবিআইয়ের প্রধান উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, কয়েক দিন আগে মোহাম্মদ আলী চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি সম্প্রতি পিবিআই প্রধান কার্যালয়ে এসে অভিযোগ করেন তিনিসহ তাঁর আরও পাঁচ আত্মীয়কে আয়ারল্যান্ড নেওয়ার কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে ৬টি পাসপোর্ট ও ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নেয় তাঁর পূর্বপরিচিত শাহীন হাসান। টাকা নেওয়ার পর ভুয়া ভিসা ভুক্তভোগীদের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে আরও টাকা দাবি করেছিলেন তাঁরা।

কিন্তু মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিষয়টিতে খটকা লাগে। বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের দূতাবাস না থাকায় তিনি ভারতের নয়াদিল্লির আয়ারল্যান্ড দূতাবাসে ই–মেইল করে ভিসাগুলো পাঠান। সেখান থেকে জানানো হয় ভিসাগুলো সঠিক নয়। এ সময় মোহাম্মদ আলী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপরও প্রতারকেরা তাঁদের কাছ থেকে ভিসা পাসপোর্টের বিনিময়ে আরও টাকা দাবি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মোহাম্মদ আলী পিবিআইকে পুরো ঘটনাটি জানান। কিছুদিন আগে এ ঘটনায় তিনি হাতিরঝিল থানায় একটি প্রতারণার মামলাও করেন। এরপর পিবিআই ওই মামলার তদন্তভার নেয়।

পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, গ্রেপ্তারের পর প্রতারকেরা বলেন, ভুক্তভোগীদের পাসপোর্ট তাঁদের কাছে নেই। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামি শাহেদ ছিদ্দিকীর বনানীর অফিসে অভিযান চালিয়ে পাসপোর্টসহ প্রতারণার সব উপকরণ জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, যাঁরা প্রতারণার খপ্পরে পড়েন, তাঁরা সর্বস্বান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের কাছে আসে না। তিনি সবাইকে লোভ থেকে দূরে থাকতে এবং সচেতন থাকতে অনুরোধ করেন।