Thank you for trying Sticky AMP!!

ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা: আরেক আসামি গ্রেপ্তার

হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় চেয়ারম্যান ইমাম হাসানকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়

বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইমাম হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলা আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম খলিলুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সরিষামুড়ি ইউনিয়ন থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

হামলার ঘটনার তিন দিন পর গত সোমবার রাত ১০টার দিকে বেতাগী থানায় ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরিফকে প্রধান আসামি এবং তাঁর তিন ছেলেসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়। মামলায় পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। আহত চেয়ারম্যানের শ্বশুর রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গতকাল রাতে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গত শুক্রবার দুপুরে বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যান বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হাসান ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরিফ। অনুষ্ঠানে খাওয়া শেষ করে আগেই বিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান ইউসুফ। এর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর বেলা দুইটার দিকে বিয়েবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে ফিরছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হাসান। কিছু দূর যেতেই আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাঁর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে কোপাতে শুরু করে। এতে তিনি মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে যান। তাঁর পায়ে ও হাতে কোপাতে থাকে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।