Thank you for trying Sticky AMP!!

ইয়াবা এনে তিনি থাকতেন আড়ালে

দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর বুধবার রাজধানীর শনির আখড়া ২৪ ফুট এলাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. শাহেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা করেন মো. শাহেদ (৩৫)। কক্সবাজার থেকে ইয়াবার বিপুল পরিমাণ চালান রাজধানীতে আনতেন পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার এই বাসিন্দা। তবে খুচরা পর্যায়ে ইয়াবা বিক্রির সময় মাঠে থাকতেন না তিনি। কক্সবাজারেও যেতেন না। কক্সবাজার থেকে বাসচালক ও তাঁর সহকারীর (হেলপার) মাধ্যমে ইয়াবার চালান ঢাকায় আনতেন। ঢাকায় আনার পর নিজস্ব লোক দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করাতেন এই ইয়াবা।

গতকাল বুধবার রাজধানীর শনির আখড়ার ২৪ ফুট এলাকা থেকে শাহেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা মেট্রোর একটি দল।

গত ১ মে ঢাকা-কক্সবাজার সড়কপথের রয়েল পরিবহনের একটি বাসের চালক মো. মনির হোসেন (৩৮) ও তাঁর সহকারী মো. নবীন হোসেনকে (২৪) দিয়ে প্রায় ৩০ হাজার ইয়াবা ঢাকায় এনেছিলেন শাহেদ। তবে ইয়াবার চালানটি হস্তান্তরের সময় মনির ও নবীন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের হাতে আটক হন। চতুর শাহেদকে ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই ঘটনার পর প্রায় পাঁচ মাস অধরা ছিলেন তিনি। অবশেষে গতকাল পুলিশ নাগাল পায় ইয়াবা ব্যবসার নেপথ্যের এই নায়কের।

পিটিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার (ঢাকা মেট্রো) আবুল কালাম আজাদ বলেন, শাহেদের বাড়ি পুরান ঢাকার বংশালের ওসমান গণি রোডে। রয়েল পরিবহনের মনির ও নবীনকে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় ইয়াবা আনতেন তিনি। কক্সবাজারের টেকনাফের আবদুল্লাহ (৩৭) নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এই ইয়াবার চালান সংগ্রহ করতেন। ঢাকায় এসব ইয়াবা শাহেদ তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে দিয়ে বিক্রি করাতেন। ১ মে রাত তিনটার দিকে যাত্রাবাড়ীর স্পিডবার্ড ফিলিং স্টেশনের সামনে ২৯ হাজার ৫০০ ইয়াবা হস্তান্তরের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালান। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহেদ দৌড়ে পালালেও আটক হন মনির ও নবীন।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, মনির ও নবীনের কাছ থেকে মূল আসামি শাহেদের নাম জানা যায়। এ ঘটনায় সিটিটিসির পরিদর্শক আবুল বাশার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। পরে আদালতের আদেশে পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদ উদ্দিন মামলার তদন্ত শুরু করেন। পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও দিকনির্দেশনায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শনির আখড়ার ২৪ ফুট এলাকা থেকে শাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।