Thank you for trying Sticky AMP!!

উচ্ছেদের পর সড়কের পাশে ফের দোকান

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের মালেকের বাড়ী এলাকায় সড়কের ওপর দোকানপাট। ছবিটি সম্প্রতি তোলা l প্রথম আলো

গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আশপাশের অবৈধ দোকানপাট সরছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালানোর দু-এক দিনের মধ্যেই এসব দোকানপাট বসাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। 

এলাকাবাসী ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত চার লেনে উন্নীত হয়েছে। মহাসড়কের এ অংশে তেমন যানজট হয় না। তবে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত অংশে নিয়মিত যানজট হচ্ছে। যানজটের মূল কারণ গাজীপুরের মালেকের বাড়ী এলাকায় মহাসড়কে বসানো সবজির হাট। এ ছাড়া টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় সড়কের দুই পাশেই বসছে ফল ও সবজির দোকানপাট। বিভিন্ন বাজার এলাকাতেও ফুটপাত দখল করে ছোট দোকানপাট বসানো হচ্ছে। এসব দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলে যানজট অনেকটাই কমে আসবে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুরের পর তুরাগ নদ পার হলেই টঙ্গী, অর্থাৎ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের শুরু। একটু এগোলেই পদচারী–সেতুর পাশে আবর্জনার স্তূপ। এরপর টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) কার্যালয় পার হলেই স্টেশন রোড। সেখানে মহাসড়কের ওপর বাজার বসার কারণে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের দুই পাশে বসানো হয়েছে দোকানপাট।

টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে আছে বহু পোশাক তৈরির কারখানা। মহাসড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্ক করা হয়েছে। ছয়দানা ও মালেকের বাড়ী এলাকায় সড়কের ওপরের কাঁচাবাজারটি যানজট ও মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

মালেকের বাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী ময়নুল ইসলাম বলেন, এলাকায় মহাসড়কের ওপরের সবজি বাজারটি কয়েকবার উচ্ছেদ করা হলেও এক-দুই দিন পর আবার বসানো হচ্ছে। এ কারণে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, সড়ক দখল করে বাজার বসানো দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও যেন চোখ বুজে আছে।

গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তার ফুটপাতের ওপরও দোকানপাট বসছে। এখানে কোনো বাসস্ট্যান্ড নেই। তারপরও বাসগুলো এখানে থামছে। যাত্রী ওঠানামা করছে। চৌরাস্তা এলাকায় আছে জাগ্রত চৌরঙ্গীর ভাস্কর্য। সেই ভাস্কর্যের পাশে রাস্তার ওপর অবৈধ ছোট ছোট অর্ধশতাধিক ভাসমান দোকান বসানো হয়েছে। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার স্কুলশিক্ষক নাজমুল খন্দকার বলেন, এ এলাকা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। পাশেই আছে হাইওয়ে পুলিশ বক্স ও অফিস। তারপরও অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।

গাজীপুর সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী ডি এ কে এম নাহীন রেজা বলেন, ‘গাজীপুর সওজের পাশাপাশি এখন সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। আমরা সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করে আসছি। সওজের ঢাকা জোনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও অভিযান চালাচ্ছেন।’

গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আহমেদ বলেন, মহাসড়কের অবৈধ দোকানপাট প্রায়ই উচ্ছেদ করা হয়। তবে এগুলো আবার বসে যাচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।