Thank you for trying Sticky AMP!!

উত্তমের পড়ালেখা থেকে চাকরি, সর্বত্র জালিয়াতি

উত্তম কুমার বড়ুয়া

১৯৮৪-৮৫ সালে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার জন্য যোগ্যতা নির্ধারণ ছিল এসএসসি ও এইচএসসিতে গড়ে ১ হাজার ২০০ নম্বর (৬০ শতাংশ) বাধ্যতামূলক। কিন্তু তখন ১ হাজার ১১১ নম্বর পেয়ে একজন এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। তা–ও আবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে। পরে চাকরির ক্ষেত্রেও জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

তিনি হলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক উত্তম কুমার বড়ুয়া। আওয়ামীপন্থী চিকিৎসক সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) যুগ্ম মহাসচিব তিনি। মধ্যে দুই মাস বাদ দিলে চাকরিজীবনের শুরু থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত উত্তম বড়ুয়া সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে হাসপাতালটির পরিচালক পদ থেকে তাঁকে গত ৩ নভেম্বর বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।

তদন্ত–সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমবিবিএস কোর্সে উত্তম বড়ুয়ার ভর্তিপ্রক্রিয়া পুরোপুরি অবৈধ ছিল। কারণ, ১৯৮৪-৮৫ সালে এমবিবিএসে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার যোগ্যতা তাঁর ছিল না। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে এক কলেজ থেকে অন্য কলেজে মাইগ্রেশন (বদলি) জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি এমবিবিএস কোর্সের ছাত্র হন।

চট্টগ্রামের রাউজানের আবুরখিলে উত্তমের বাড়ি। তাঁর পরীক্ষা পাসের নথি যাচাই করে দেখা যায়, তিনি আবুরখিল অমিতাভ উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এসএসসি) প্রথম বিভাগে পাস করেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬২৮। এরপর ১৯৮৩ সালে কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) মানোন্নয়ন পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪৮৩। এ–সংক্রান্ত কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রদত্ত এসএসসি ও এইচএসসির নম্বরপত্র প্রথম আলোর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

তাঁর পরীক্ষা পাসের নথি যাচাই করে দেখা যায়, তিনি আবুরখিল অমিতাভ উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এসএসসি) প্রথম বিভাগে পাস করেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬২৮। এরপর ১৯৮৩ সালে কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) মানোন্নয়ন পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪৮৩। এ–সংক্রান্ত কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রদত্ত এসএসসি ও এইচএসসির নম্বরপত্র প্রথম আলোর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

১৯৮৪-৮৫ সালের এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে যোগ্যতা হিসেবে দুই পরীক্ষায় গড়ে ৬০ শতাংশ নম্বর বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ১৯৮৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত মেডিকেল কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি প্রথম আলোর কাছে রয়েছে। সেবার যোগ্যতা না থাকায় উত্তম বড়ুয়া ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়া অভিযোগে জানা যায়, এক কলেজ থেকে অন্য কলেজে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হলে উত্তম সিলেট মেডিকেল কলেজের মনির আহমেদ নামের এক কেরানির মাধ্যমে জালিয়াতি করেন। মাইগ্রেশন তালিকায় অধ্যক্ষের স্বাক্ষরের ওপরের খালি জায়গায় উত্তম কুমার বড়ুয়ার নামটি টাইপ করে দেওয়া হয়। পরে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে তিনি ভর্তি হন।

একই প্রক্রিয়ায় একই শিক্ষাবর্ষে সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ভর্তি হয়েছিলেন দুজন ছাত্র (তিমির বরণ চৌধুরী ও নুরুল আবছার চৌধুরী)। ভর্তির তিন বছর পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ তাঁদের ভর্তি চ্যালেঞ্জ করলে দুজনকে বের করে দেওয়া হয়।

১৯৮৪-৮৫ সালের এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে যোগ্যতা হিসেবে দুই পরীক্ষায় গড়ে ৬০ শতাংশ নম্বর বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ১৯৮৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত মেডিকেল কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি প্রথম আলোর কাছে রয়েছে। সেবার যোগ্যতা না থাকায় উত্তম বড়ুয়া ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রামের দুজনের ভর্তির নথি যাচাইয়ের জন্য দুই বছর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে একজন এসেছিলেন। নথি খুঁজে দেখা গেছে, এ দুজনের ভর্তি বাতিল করা হয়েছে মর্মে খাতায় লেখা রয়েছে।

কিন্তু ময়মনসিংহ মেডিকেলে উত্তম কুমার বড়ুয়া বহাল তবিয়তে এক যুগ পড়াশোনা চালিয়ে ডাক্তার হন। পরে তিনি জীবনবৃত্তান্তে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম শ্রেণি উল্লেখ করা শুরু করেন।

উত্তম বড়ুয়ার ভর্তি জালিয়াতির বিষয়টি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করেছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের পরিদর্শক জাহেদ হোসেন কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘উত্তম বড়ুয়ার বিষয়টি আমার মনে পড়ছে না।’

জানতে চাইলে পিবিআইয়ের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘উত্তম কুমার বড়ুয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। অনেকগুলো অভিযোগ আমাদের হাতে এসেছে।’

‘উত্তম কুমার বড়ুয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। অনেকগুলো অভিযোগ আমাদের হাতে এসেছে।’
বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআইয়ের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি)

২০১৮-১৯ সালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনাকাটাসহ উত্তমের নানা অনিয়মের ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেখানেও এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিতে জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসে।

তদন্ত কমিটির সামনে উত্তম বড়ুয়া এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ১৯৮৪-৮৫ সালে মেধা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। নিয়ম অনুযায়ী আনুমানিক দুই মাস পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে অটো মাইগ্রেশনের মাধ্যমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি–সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তাঁর কাছে সংরক্ষিত নেই।

ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তম বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘জালিয়াতির প্রশ্নই আসে না। অধিকতর তদন্ত করবে কি না, সেটা ডিপার্টমেন্টের বিষয়। আমি তাদের অধীনে ৩০-৪০ বছর চাকরি করছি। এটা ডিপার্টমেন্ট দেখবে।’

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষরিত এ তদন্ত প্রতিবেদনের ১২ নম্বর ক্রমিকে বলা হয়, ‘উত্তম বড়ুয়ার এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির অভিযোগটি গুরুতর। এ বিষয়ে কমিটির বক্তব্য হলো, উত্তম বড়ুয়া অভিযোগটি সত্য নয় বলে দাবি করেন। তাঁর এমবিবিএস ভর্তি সঠিক ছিল কি না, সরকার যাচাই করতে আগ্রহী হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের রেকর্ড সংগ্রহ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। তবে অভিযোগটি গুরুতর বিধায় যথাযথভাবে তথ্য সংগ্রহ করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।’

চাকরির ক্ষেত্রে নানা অভিযোগ

উত্তম কুমার বড়ুয়া ১৯৯৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একটি প্রকল্পের আওতায় অস্থায়ী ভিত্তিতে মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় তাঁর বয়স ছিল ৩২ বছর ৭ মাস। তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ৩০ বছর।

এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন পদে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চাকরি করেন। মাঝখানে ২০১৩ সালে তিনি সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে দুই মাস ১১ দিনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। পরে আবার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যোগ দেন। ২০১৫ সালের ৭ জুলাই তিনি হাসপাতালটির পরিচালক হন।

দুদকে জমা পড়া অভিযোগে দেখা যায়, উত্তম কুমার বড়ুয়া বিভিন্ন সময় দুটি ভিন্ন ভিন্ন কোড (চিকিৎসক নম্বর) ব্যবহার করে আসছেন। তাঁর প্রকৃত কোড ১০৭২৭১। কিন্তু এইচআরআইএস বায়োডাটাসহ চাকরির বিভিন্ন জায়গায় ১০১০৬০৯ কোড নম্বর ব্যবহার করে আসছেন।

‘মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করে এসে চিকিৎসকেরা আমাদের সদস্য হয়। আমাদের পক্ষে গোয়েন্দাদের মতো ভর্তিসংক্রান্ত বিষয়, বয়স সবকিছু তদন্ত করে দেখা সম্ভব হয় না। তাঁর (উত্তম) বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ পত্রপত্রিকায় দেখেছি। তবে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অপরাধী বলা যাবে না।
এম ইকবাল আর্সলান, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি

উত্তম বড়ুয়া বিসিএস ক্যাডার নন। কিন্তু নিজেকে ২১তম বিসিএস ক্যাডার দেখিয়ে ২০১০ সালে ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন মর্মে সনদ ও স্বীকৃতি নিয়েছেন। অথচ নন-ক্যাডার হিসেবে তাঁর ফাউন্ডেশন ট্রেনিংই করার কথা নয়।

তদন্ত কমিটিকে উত্তম বড়ুয়া দুটি কোড নম্বর ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

জানতে চাইলে স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম ইকবাল আর্সলান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করে এসে চিকিৎসকেরা আমাদের সদস্য হয়। আমাদের পক্ষে গোয়েন্দাদের মতো ভর্তিসংক্রান্ত বিষয়, বয়স সবকিছু তদন্ত করে দেখা সম্ভব হয় না। তাঁর (উত্তম) বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ পত্রপত্রিকায় দেখেছি। তবে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অপরাধী বলা যাবে না। বিএমডিসি কিংবা অন্য কোনো সংস্থা তদন্ত করার দায়িত্ব পেলে তা খতিয়ে দেখতে পারে।’

গুরু পাপে লঘু দণ্ড

২০১৬ সালে এমআরআই মেশিনসহ যন্ত্রপাতি কেনায় দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেবার শাস্তি হিসেবে তাঁর বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) এক বছরের জন্য স্থগিত করে ‘গুরু পাপে লঘু দণ্ড’ দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ সালে ওটি লাইটসহ নানা সরঞ্জাম কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। মামলায় প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। তাঁর অবৈধ সম্পদসহ নানা বিষয়ে তিনটি মামলা হয়েছে দুদকে।

‘মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আমি লিখিতভাবে সচিব বরাবরে জবাব দিয়েছি। এখন বাকিটা তাঁরা দেখবেন।’
উত্তম বড়ুয়া

মামলার আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি গত বছরের জানুয়ারিতে দেওয়া প্রতিবেদনে উত্তম বড়ুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পায়। ৯ মাস পর ওই বছরের ২৯ অক্টোবর বিভাগীয় মামলা হয়। স্বাস্থ্যসেবা সচিব মো. আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত অভিযোগনামায় তাঁকে কেন যথোপযুক্ত দণ্ড দেওয়া হবে না, জানতে কারণ দর্শানো হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি এখন স্থবির হয়ে রয়েছে। এ বিষয়ে সচিব আবদুল মান্নানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বিভাগীয় মামলা প্রসঙ্গে উত্তম বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আমি লিখিতভাবে সচিব বরাবরে জবাব দিয়েছি। এখন বাকিটা তাঁরা দেখবেন।’

এদিকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বরাবর গত ১৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অডিট ইউনিট একটি অডিট আপত্তির জবাব দিয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এম ডি কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত জবাবে বলা হয়েছে, হাসপাতালটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের এমএসআর ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি (রাজস্ব) ক্রয়ের ওপর বিশেষ নিরীক্ষায় ২১টি অডিট আপত্তি উত্তাপিত হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি অডিট আপত্তিকে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম এবং একটি অডিট আপত্তিকে গুরুতর নয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া দুর্নীতি, অনিয়ম এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে উত্তম বড়ুয়ার বিরুদ্ধে দুদকে তিনটি মামলা হয়েছে। এ তিন মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন।