Thank you for trying Sticky AMP!!

এক মাসে নিখোঁজ তিন ব্যবসায়ী

* পুলিশ খুঁজে বের করতে পারেনি।
* হতাশ হয়ে পড়েছে পরিবারগুলো।
* নিখোঁজ ব্যক্তিদের হত্যার পর লাশ গুমের আশঙ্কা।
* তিন ঘটনায় পৃথক সাধারণ ডায়েরি।

চলতি জানুয়ারিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার তিনজন ব্যবসায়ী নিখোঁজ রয়েছেন। পুলিশ তাঁদের খুঁজে বের করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছে পরিবারগুলো। পরিবারের সদস্যদের আশঙ্কা, নিখোঁজ ব্যক্তিদের হত্যার পর লাশ গুম করা হয়েছে।

নিখোঁজ তিনজন হলেন হাবিবপুর এলাকার শেখ মোহাম্মদ আবু খালেকের ছেলে ইটভাটার ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম (২৬), হাকিমপুর গ্রামের আবুল হোসেন লস্করের ছেলে ওষুধ ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন (৪০) ও আড়ুয়াকান্দি গ্রামের হাকিম উদ্দিনের ছেলে গরু ব্যবসায়ী মসলেম উদ্দিন (৩২)। তিনটি ঘটনায় শৈলকুপা থানায় পৃথক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।

৪ জানুয়ারি নিখোঁজ হন রিয়াজুল ইসলাম। তাঁর মামা এস এম আনিচুজ্জামান বলেন, রিয়াজুল ওই দিন বিকেলে বাসা থেকে বের হন। বাবু মিঞা নামের এক বন্ধু রিয়াজুলকে কাজীপাড়া এলাকায় একটি ইটভাটার কাছে নামিয়ে দিয়ে আসেন। সেখানকার এক নারীর সঙ্গে রিয়াজুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে বাবু জানিয়েছেন। সেদিন রাতে রিয়াজুলের সেখানে থাকার কথা। পরিবার থেকে খুঁজলে ব্যবসার কাজে অন্যত্র আছে বলে বাবুকে জানিয়ে দিতে অনুরোধ করে রিয়াজুল।

এস এম আনিচুজ্জামান বলেন, ওই দিনের পর রিয়াজুল আর ফেরেননি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়। এরপরও পুলিশের তেমন তৎপরতা নেই। তাঁদের আশঙ্কা, নারীঘটিত কারণে রিয়াজুলকে হত্যা করা হয়েছে।

আমজাদ হোসেন নিখোঁজ হয়েছেন ১৫ জানুয়ারি। উপজেলা শহরের হলবাজার এলাকায় হ্যাপী ফার্মেসি নামে তাঁর একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। তাঁর চাচা সামছুদ্দিন লস্কর বলেন, প্রতিদিনের মতো ওই দিন সকালে আমজাদ দোকানের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফেরেননি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ থাকায় তাঁরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি থানায় জিডি করেছেন।

সর্বশেষ ১৮ জানুয়ারি নিখোঁজ হন মসলেম উদ্দীন। তাঁর ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, গরু কেনাবেচা করার জন্য ওই দিন সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম ও পান্টি এলাকায় যাচ্ছেন বলে মসলেম বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফেরেননি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ। নিখোঁজের দিন মসলেমের কাছে অনেক টাকা ছিল। টাকার জন্য দুর্বৃত্তরা তাঁকে অপহরণ করে থাকতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। এ ঘটনায়ও জিডি হয়েছে।

শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, তিনজনকেই উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছে পুলিশ।