Thank you for trying Sticky AMP!!

এবার ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করে সুপারশপে কেনাকাটা

এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের টাকা উধাও হওয়ার পর এবার কার্ড জালিয়াতি করে কেনাকাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্র্যাক ব্যাংকের তিন গ্রাহকের তিনটি ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে বনানীতে সুপার শপ স্বপ্ন-এর একটি আউটলেট থেকে কেনাকাটা করা হয় বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। এই কেনাকাটা করা হয়েছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) যন্ত্র ব্যবহার করে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতিতে তাঁরা এ ঘটনায় ব্যাংক ও এর বাইরের লোকদের সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত শুরু করেছেন।

গত বছরের ৬ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি ব্যাংক ইস্টার্ণ, সিটি, ইউসিবিএলের গুলশান, বনানী ও পল্লবীর কালশীর চারটি বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ নামের যন্ত্র বসিয়ে গ্রাহকদের কার্ডের তথ্য চুরি করে ক্লোন কার্ড তৈরি করে টাকা তুলে নেওয়া হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি ইস্টার্ণ ব্যাংকের একাধিক গ্রাহক মুঠোফোনের খুদে বার্তার মাধ্যমে তাঁদের হিসাব থেকে টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে ব্যাংকে অভিযোগ করেন। কার্ড জালিয়াতির সম্পৃক্ততা পেয়ে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি জার্মানির নাগরিক পিওতর সিজোফেন মুজারেক ও সিটি ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের কর্মকর্তা মকসেদ আলম (মাকসুদ), রেজাউল করিম ও রেফাজ আহমেদকে গ্রেপ্তার করে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম গতকাল রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, সাত-আট দিন আগে ব্র্যাক ব্যাংকের তিন গ্রাহকের তিনটি ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করা হয়। বনানীতে সুপার শপ স্বপ্ন-এ মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের পিওএস যন্ত্র ব্যবহার করে কেনাকাটা করা হয়। গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এবং জালিয়াত চক্র শনাক্তে আদালতের অনুমতি চায়। গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত ঘটনা তদন্ত করে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

সাইবার অপরাধ বিভাগের কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, কার্ড জালিয়াতিতে ব্যাংক ও এর বাইরের চক্র তৎপর থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।