Thank you for trying Sticky AMP!!

এবি ব্যাংকের ছয় পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ

এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান ও সাবেক ছয় পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মুঠোফোন কোম্পানি সিটিসেলের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবেই এই জিজ্ঞাসাবাদ। 

আজ মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামছুল আলম তাঁদের সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁরা হলেন পরিচালক শিশির রঞ্জন বোস ও সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দীন এবং সাবেক পরিচালক মিশাল কবির, ফাহিমুল হক, মো. মেজবাহুল হক ও বিবি সাহা রায়।
এর আগে ১ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, পরিচালক মো. ফিরোজ আহমেদ ,সাবেক পরিচালক এম এ আউয়াল ও প্রফেসর মো. ইমতিয়াজ হোসেনকে।

সিটিসেলের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৮ জুন ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। রাজধানীর বনানী মডেল থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক শেখ আবদুস সালাম। এখন ওই মামলার তদন্ত করছেন আরেক উপপরিচালক সামছুল আলম।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে আর্থিক লাভের জন্য প্রতারণা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিবিটিএল) ব্যাংক গ্যারান্টির আবেদন যাচাই-বাছাই না করেই এবি ব্যাংকের মহাখালী শাখার দেওয়া প্রস্তাব প্রধান কার্যালয়ে পাঠান। পরে তিনজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সহায়তায় চারটি বোর্ড সভার মাধ্যমে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার অপরিবর্তনীয় শর্তবিহীন ব্যাংক গ্যারান্টি অনুমোদন করা হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ওই ঋণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পিবিটিএল পরিশোধ করেনি। ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংক গ্যারান্টির শর্তানুযায়ী এবি ব্যাংকের মহাখালী শাখা সুদসহ ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ৩৬৩ টাকা ১৩ পয়সা পরিশোধের মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান, ভাইস চেয়ারম্যান আসগর করিম, পরিচালক নাছরিন খান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী, এবি ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইজার আহমেদ চৌধুরী, এম ফজলুর রহমান, শামীম আহম্মেদ চৌধুরী, বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সালমা আক্তার, মহাদেব সরকার সুমন, এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার সৈয়দ ফরহাদ আলম, আরশাদ মাহমুদ খান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহানুর পারভীন চৌধুরী, এভিপি জার ই এলাহী খান এবং রিলেশনশিপ অফিসার মো. কামারুজ্জামান।
এর আগে মামলার তদন্তের জন্য এম মোরশেদ খান ও তাঁর স্ত্রী নাছরিন খান দুদকে তলব করে নোটিশ পাঠালেও অসুস্থতার কথা জানিয়ে সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।