Thank you for trying Sticky AMP!!

ওমরাহ করতে গিয়ে চার ছাত্র নিখোঁজ

শেখ মিজানুর রহমান, ফাহিম হাসান খান, আল আমিন, আবদুল মোমেন

সৌদি আরবে ওমরাহ করতে গিয়ে ফিরে আসেননি ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী। ঢাকায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের  (সিটিটিসি) কর্মকর্তারা ওই চার ছাত্রের সঙ্গে মক্কায় অবস্থানরত বিতর্কিত বক্তা মুস্তাক মুহাম্মাদ আরমান খানের যোগাযোগের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। সৌদি দূতাবাসকে এ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।

নিখোঁজ চার ছাত্র হলেন স্নাতকোত্তর শ্রেণির শেখ মিজানুর রহমান, ফাহিম হাসান খান, আল আমিন এবং স্নাতক উত্তীর্ণ আবদুল মোমেন। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ছেলে মিজান কৃষিতত্ত্ব, একই জেলার ফুলপুরের ফাহিম কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন, কুমিল্লার দেবীদ্বারের আল আমিন উদ্যানতত্ত্ব এবং বগুড়ার আদমদীঘির আবদুল মোমেন কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র।

সিটিটিসির উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হজ এজেন্সির মাধ্যমে ওই চার ছাত্র ওমরাহ ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে গিয়ে নিখোঁজ হন। ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ওই ছাত্রদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।

>

চারজনই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাঁদের সঙ্গে মক্কায় বিতর্কিত বক্তা মুস্তাক মুহাম্মাদের যোগাযোগের তথ্য পেয়েছে সিটিটিসি।

নিখোঁজ চার ছাত্রের মধ্যে ফাহিমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ফাহিমের বোন ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, ওমরাহে যাচ্ছেন, ফাহিম শুধু এটুকুই জানিয়েছিলেন। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাদমান হজ এজেন্সির মাধ্যমে ওমরাহ করতে ২৬ জনের একটি দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়েন গত ২৫ জানুয়ারি। সাদমান এজেন্সির কর্ণধার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, সৌদি আরবে পৌঁছে তাঁরা মক্কার ওয়ার্দা জহুর হোটেলে উঠেছিলেন। বিদায়ী তাওয়াফ শেষে ১ ফেব্রুয়ারি মদিনায় যাওয়ার কথা ছিল। ওই দিন সকালে উঠে তাঁরা আর ছাত্রদের খুঁজে পাননি। পরে হজ এজেন্সির সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সৌদি কর্তৃপক্ষকে তাঁরা বিষয়টি জানান।

ঢাকায় সিটিটিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, নিখোঁজ চার ছাত্র মুস্তাক মুহাম্মাদ আরমান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে এই মুস্তাক ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে শিক্ষকতা করছিলেন। 

ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান মিজানুর রহমান বলেন, মুস্তাক মুহাম্মাদ আরমান খান বছর তিনেক আগে জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। বছর তিনেক আগে হঠাৎ তিনি চাকরি ছেড়ে দেন এবং সপরিবার সৌদি আরবে চলে যাবেন বলে জানান।