Thank you for trying Sticky AMP!!

কক্সবাজারে হাসপাতালের মর্গে মিলল নিখোঁজ ইয়াবা ব্যাবসায়ীর লাশ

নিখোঁজের ১৩ দিন পর কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাওয়া গেল ইয়াবাসহ পাঁচটি মামলায় অভিযুক্ত যুবক কলিম উল্লাহ ওরফে লাদেনের (৩২) মরদেহ। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কে বা কারা লাশটি মর্গে রেখে যান।

আজ শুক্রবার পরিবারের সদস্যরা মরদেহ দেখে পরিচয় শনাক্ত করেন। মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কেউ লাদেনকে গুলি করে হত্যা করে এবং লাশটি কৌশলে মর্গে রেখে পালিয়ে গেছে বলে সন্দেহ পুলিশের।

নিহত কলিম উল্লাহর বাড়ি উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম বদরুদ্দৌজা। এলাকায় লাদেন ইয়াবা ব্যবাবসায়ী হিসাবে পরিচিত। তিনি উপজেলা যুবদলের সদস্য।

বাবা বদরুদৌজার ভাষ্য, গত ৭ ডিসেম্বর রাতে উখিয়ার থাইংখালী বাজার এলাকা থেকে অপরিচিত ৭-৮ জনের একটি দল কলিম উল্লাহকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে কলিম আর বাড়ি ফেরেনি। গতকাল রাতে মর্গে কলিম উল্লাহ লাশ পড়ে আছে বলে তাঁকে জানানো হয়। আজ সকালে মর্গে গিয়ে তিনি ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। লাশের গায়ে দুটি গুলির দাগ রয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, নিহত কলিম উল্লাহর বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় ইয়াবা, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলাসহ পৃথক পাঁচটি মামলা রয়েছে। মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি কিংবা অন্য কোনো বিরোধের কারণে কলিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলেন, উখিয়ার সীমান্তবর্তী রহমতেরবিল গ্রাম দিয়ে ইয়াবা পাচারের একাধিক সিন্ডিকেট রয়েছে। একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন কলিম উল্লাহ। এলাকায় কলিমের একাধিক বাড়ি, দোকান ও গাড়ি রয়েছে।