Thank you for trying Sticky AMP!!

কঙ্কালের সঙ্গে নিখোঁজ ছেলের জ্যাকেট, পরিচয়পত্র

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ভবানীপুর বাজারের সবজির ব্যবসায়ী কাওসার হাওলাদার। একই উপজেলার ওটরা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। কয়েক মাইল পেরিয়ে বাড়ি থেকে ভবানীপুর বাজারে যাতায়াত করতেন ৩৫ বছর বয়সী এই যুবক। প্রতিদিনের মতো ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর সকালবেলা বাড়ি থেকে বের হন। আর ফেরেননি। কাওসারকে বহু খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের সদস্যরা তাঁকে পাচ্ছিলেন না। এ ঘটনার প্রায় এক বছর পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভবানীপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে একটি কঙ্কাল পাওয়া গেছে। ওই কঙ্কালের গায়ে থাকা জ্যাকেটে পাওয়া গেছে কাওসারের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মানিব্যাগ।

পুলিশ ও কাওসারের স্বজনদের ধারণা, উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি কাওসার হাওলাদারের। তবে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

উজিরপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, কাওসার হাওলাদার ওটরা গ্রামের হালিম হাওলাদারের ছেলে। ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর নিখোঁজের পর বিভিন্ন স্থানে ও আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে কাওসারের খোঁজ করা হয়। একসময় তাঁর পরিবারের ধারণা হয়তো দূরে কোথাও চলে গেছেন তিনি। কাওসারের সন্ধানে কোনো ধরনের আইনি পদক্ষেপও নেয়নি তাঁর পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক নারী ভবানীপুর গ্রামের কাজীবাড়ির বাগানে রান্নার জন্য কাঠ সংগ্রহ করতে যান। এ সময় বাগানের ভেতরে ডোবায় একটি জ্যাকেট দেখতে পান তিনি। তিনি জ্যাকেটটি ধরার সঙ্গে সঙ্গে একটি কঙ্কাল বের হয়ে আসে। এ সময় স্থানীয় লোকজনকে ওই নারী বিষয়টি জানান। পরে খবর পেয়ে উজিরপুর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা কঙ্কালটি উদ্ধার করেন। উদ্ধারের সময় কঙ্কালে জড়ানো থাকা জ্যাকেটের ভেতর কাওসারের জাতীয় পরিচয়পত্র, মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত মালামাল দেখে কঙ্কালটি কাওসারের বলে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেন তাঁর পরিবারের লোকজন।

ওসি মো. জিয়াউল আহসান বলেন, কঙ্কালটির নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত ছাড়া এখনই বলা যাবে না যে কাওসারকে হত্যা করা হয়েছে, না তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

কাওসার হাওলাদারের বাবা হালিম হাওলাদার বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে কারও কোনো ধরনের বিরোধ বা শত্রুতা নেই। ধারণা ছিল, হয়তো কাওসার দূরে কোথাও চলে গেছে। এ কারণে তিনি ছেলের সন্ধানে মামলা বা জিডি করেননি।