Thank you for trying Sticky AMP!!

কন্যাশিশুকে হত্যার অভিযোগ ওঠা সৎবাবা গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

গাজীপুরে কন্যাশিশুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ ওঠা সৎবাবা মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে আজ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার বোলতা গাউছিয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আহম্মদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কন্যাশিশুটি হলো নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়াল পুকুর কাচিয়াহাট এলাকার মজির আলীর মেয়ে স্বর্ণা আক্তার (১০)। সে কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আন্ধারমানিক এলাকার আবদুল্লাহ মডেল পাবলিক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

পুলিশ ও নিহত শিশুর পরিবার সূত্র জানায়, স্বর্ণা আক্তারের জন্মের বছরখানেক পর তার বাবা মজির আলী মারা যান। এরপর ছেলে রুবেল হোসেন (২০) ও মেয়ে স্বর্ণাকে নিয়ে বিপাকে পড়েন তাদের মা রূপালী বেগম। কিছুদিন পর রূপালী বেগমের সঙ্গে একই এলাকার মৃত কালাতছিরের ছেলে ও তিন সন্তানের জনক মশিউর রহমানের বিয়ে হয়। এরপর স্বর্ণা, তার ভাই রুবেল, মা রূপালী ও সৎবাবা মশিউর গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আসেন। পরে তাঁরা উপজেলার সফিপুর আহম্মদনগর এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। স্বর্ণা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত। তার মা রূপালী ও বড় ভাই রুবেল স্থানীয় পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন। কিন্তু সৎবাবা মশিউর কোনো কাজকর্ম করতেন না। স্থানীয় মাদকসেবীদের সঙ্গে মিশে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে রূপালী ও মশিউরের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হতো।

গতকাল ভোরে রূপালী ও মশিউরের মধ্যে আবার ঝগড়া হয়। পরে রূপালী ও রুবেল কারখানায় চলে যান। বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁদের ভাড়া বাসার পাশের খালি একটি কক্ষে স্বর্ণার গলাকাটা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন অন্য ভাড়াটে ও এলাকাবাসী। খবর পেয়ে রাত পৌনে আটটার দিকে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মশিউর হত্যার দায় স্বীকার করে বলেছে, স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি নেশা করেন। সকালে স্ত্রীর কাছে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় রাগে সৎমেয়েকে ছুড়ি দিয়া গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, ঘটনাটি ঘটিয়ে নিহতের সৎ পিতা পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর তিনি স্বেচ্ছায় হত্যার দায় এবং কেন হত্যা করেছে সেটি স্বীকার করেছে। আগামীকাল শনিবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।