Thank you for trying Sticky AMP!!

কবর থেকে তোলা হলো মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে নিহত ছাত্রের লাশ

নিহত কলেজছাত্র কামরুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত নিহত কলেজছাত্র কামরুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে মারা যাওয়া কলেজছাত্র কামরুজ্জামান ইমনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। দাফনের ৯ দিন পর আদালতের নির্দেশে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গোবিন্দগুনিয়া গোরস্থান থেকে লাশ তোলা হয়।

এ সময় সেখানে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাসসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ইউএনও প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আদালত থেকে একটি নির্দেশ এসেছে। তাতে বলা হয়, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কামরুজ্জামানের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠাতে হবে। সে মোতাবেক গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে দাফন করা কামরুজ্জামানের লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।

গত ১৯ নভেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুরে সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে মানসিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য কামরুজ্জামান ইমনকে (১৮) ভর্তি করা হয়। পরের দিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় কামরুজ্জামানকে মারধর ও শরীরে ইনজেকশন প্রয়োগের দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়। এমন একাধিক ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পাঁচজনকে আসামি করে মিরপুর থানায় একটি মামলা করেন কামরুজ্জামানের চাচা শাজাহান আলী। আসামিরা হলেন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মতিন, মিন্টু বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান, অসীত কুমার বিশ্বাস ও জিকু বিশ্বাস। এর মধ্যে আবদুল মতিন, মিন্টু বিশ্বাস ও হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।