Thank you for trying Sticky AMP!!

কলসিন্দুর বিদ্যালয়ে আগুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার নেই

দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়েছে কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নারী ফুটবলারদের অর্জিত মেডেল ও সনদপত্র। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া

মেয়েদের ফুটবলে অনন্য কীর্তির জন্য পরিচিত কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রতন মিয়া বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাতে মামলা করেন। তবে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার সকালে কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শাখার অফিস কক্ষে আগুনের চিহ্ন দেখা যায়। গত সোমবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এই আগুন দেয়। দুর্বৃত্তরা অফিস কক্ষের একাধিক আলমারির তালা ভেঙে ফুটবলার মেয়েদের খেলার সনদ, মেডেল ও প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ টেবিলে রেখে আগুন দেয়। আগুনে ওই সব জিনিস পুড়ে যায়।

আগুনের ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, জাতীয়করণ নিয়ে শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল দায়ী। তবে শিক্ষকেরা তা মানতে নারাজ।

শিক্ষকদের দাবি, নিজেদের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি বিদ্যালয় শাখা থেকে একজন শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত হন এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি নতুন করে গঠন করা হয়েছে। এ দুটি বিষয় আগুন দেওয়ার কারণ হতে পারে।

পুলিশ সবগুলো বিষয় খতিয়ে দেখছে বলে জানান ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহাম্মদ মোল্লা।

কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অন্তত ১০ মেয়ে ফুটবলার বাংলাদেশের জাতীয় দল এবং বয়সভিত্তিক দলে নিয়মিত খেলে। ওই মেয়েরা কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনবার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়। ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়টি মেয়েদের এ কৃতির জন্য সারা দেশে পরিচিত।