Thank you for trying Sticky AMP!!

কারাগার থেকে কয়েদি পালানোয় ৬ রক্ষী বরখাস্ত

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার

কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় এই আসামির বিরুদ্ধে আজ শুক্রবার বিকেলে কোনাবাড়ী থাকায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, কাশিমপুর কারাগারের ১২ জন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ছয়জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপের পর থেকে খোঁজাখুঁজি করেও আসামি আবু বকর সিদ্দিককে কারাগারের ভেতরে কোথাও পাওয়া যায়নি। আবু বকরের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চণ্ডীপুর এলাকার। তাঁর বাবার নাম আলী গাইন।

কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালের ১৫ জুন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এসেছিলেন ফাঁসির আসামি হিসেবে। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তাঁর সাজা সংশোধন করে তাঁকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বন্দীদের গণনাকালে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ২০১৫ সালেও ওই কয়েদি কারাগার চত্বরে একবার পালিয়ে ছিলেন। পরে কারাগারের ভেতরে থাকা একটি পানির ট্যাংকের ভেতর থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পর কিছুদিন তাঁকে কারাগারে শিকল পড়িয়ে রাখা হতো। এতে আবু বকর কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে শিকলমুক্ত করে দেওয়া হয়। কারা চত্বরে তিনি অন্য বন্দীদের সঙ্গে অনেক সময় কাজকর্ম করতেন। তবে তাঁকে মানবিক কারণে কাজের জন্য চাপ দেওয়া হতো না। বৃহস্পতিবারও অন্যদের সঙ্গে মুক্ত ছিলেন আবু বকর। সন্ধ্যায় কারাগারের ৬টি ভবনের ২৪টি কক্ষে তার খোঁজ না পেয়ে সকল বন্দীদের রোল কল করে আবু বকরের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে কারা কর্তৃপক্ষ।

কাশিমপুর কারাগার-২–এর জ্যেষ্ঠ সুপার জাহানারা বেগম জানান, আবু বকর সিদ্দিক জেলের ১৮ ফুট দেয়াল বেয়ে চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাতক্ষীরায় তাঁর বাড়িতে লোক গেছে। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হোসেন জানান, কারাগার থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।