Thank you for trying Sticky AMP!!

কারা যেন পুড়িয়ে দিল কলসিন্দুরের মেয়েদের মেডেল-সনদ

নারী ফুটবলারদের জন্য স্বনামধন্য ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস কক্ষে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ, সনদ ও মেডেল। আজ মঙ্গলবার সকালে স্কুলের অফিস কক্ষে আগুনে পোড়ার চিহ্ন দেখা যায়।

দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়েছে কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নারী ফুটবলারদের অর্জিত মেডেল ও সনদপত্র। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া

ধোবাউড়া থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে স্কুলের অফিস কক্ষ খোলার পর দেখা যায় যে কাঠের টেবিলের ওপর ও মেঝেতে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, সনদ ও মেডেল পোড়া অবস্থায় পড়ে আছে। কাগজ ছাড়াও একটি কম্পিউটারের অংশ বিশেষ পোড়া অবস্থায় দেখা যায়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ধোবাউড়া থানার পুলিশ ও হালুয়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয়রা জানায়, কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজটি জাতীয়করণের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ কাগজে আগুন দেওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক।

পুড়ে যাওয়া সনদের একাংশ। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া

কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রতন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ৬ মে থেকে বিদ্যালয়ে রমজানের ছুটি চলছে। তবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস চালু আছে। সকাল আটটা থেকে বিশেষ ক্লাস শুরু হয়। আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বিশেষ ক্লাসের জন্য আসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আগুনের ঘটনা টের পায়। দুর্বৃত্তরা তালা ভেঙে আগুন দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহাম্মদ মোল্লা বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্কুলের পক্ষ থেকে সন্দেহভাজন কারও নাম বলা হয়নি। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।’

দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়েছে কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নারী ফুটবলারদের অর্জিত মেডেল ও সনদপত্র। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া

কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে শিক্ষার্থীরা তিনবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ ফুটবলে জাতীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন হয়। ওই শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখায় ভর্তি হয়। বাংলাদেশ নারী দলের কৃতি ফুটবলার মারিয়া মান্দা, মার্জিয়া ও সানজিদাসহ বয়সভিত্তিক বিভিন্ন জাতীয় দলে কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের কমপক্ষে ১০ জন মেয়ে নিয়মিত খেলেন।

কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রতন মিয়া বলেন, পুড়ে যাওয়া জিনিসের মধ্যে আছে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে উপজেলা পর্যায়ে এই প্রতিষ্ঠানের মেয়েদের অর্জন করা সনদ ও মেডেল।