কালীগঞ্জে চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামি ইউপি সদস্য গণপিটুনিতে নিহত
সাতক্ষীরার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির নেতা কে এম মোশাররফ হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য জলিল গাইন নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার জলিলকে পুলিশের কাছে থেকে ছিনিয়ে নিয়ে জনগণ পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
শনিবার রাত সোয়া নয়টায় কৃষ্ণনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার জলিলকে কালীগঞ্জ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কৃষ্ণনগর বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ভ্যান থেকে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসী জলিলকে ছিনিয়ে নেন। পরে জনতা পিটুনি দিয়ে তাঁকে হত্যা করেন।
ওসি বলেন, চেয়ারম্যান মোশাররফ হত্যাকাণ্ডের পর জলিল গাইন আত্মগোপনে ছিলেন। সর্বশেষ তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াচালায় অবস্থান করছিলেন। পত্রিকায় জলিল গাইনের ছবি দেখে জনতার সন্দেহ হলে তারা তাঁকে আটক করে পুলিশকে জানান। এর ভিত্তিতে মৌচাক ফাঁড়ির পুলিশ শুক্রবার দুপুরে রাখালিয়াচালায় সরকার মার্কেট থেকে জলিল গাইনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহসাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মোশাররফ হোসেনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা । এ ঘটনায় মোশাররফের মেয়ে সাফিয়া পারভীন বাদী হয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি জলিল গাইনকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ এ মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিন আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে তিন আসামি সাতক্ষীরার আমলি আদালত-১-এর বিচারকের কাছে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
-
অস্ত্রোপচার আজও হয়নি, শুরু হতে পারে আগামীকাল
-
যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছেলের মৃত্যু, কান্না থামছে না মা–বাবার
-
সাকিবের সঙ্গে দেখা করলেন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী, মুহূর্তেই ছবি ভাইরাল
-
মোস্তাফিজের এবারের আইপিএল: সাবেক দলের বিপক্ষে উইকেট যে কারণে কম
-
রাজধানীর তাপমাত্রা আরও বাড়ল, চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ