Thank you for trying Sticky AMP!!

কুলিয়ারচরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৫ বস্তা চাল উদ্ধার

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের ২৫ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনৈতিকভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে চাল মজুত করে রাখার অভিযোগে একটি মিলের মালিককে আটক করা হয়।

গত শনিবার রাতে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ডুমরাকান্দা বাজারে অভিযান চালিয়ে চাল জব্দ ও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে র‌্যাব। আটক হওয়া মিল মালিকের নাম আবদুর রহিম। তিনি ডুমরাকান্দা বাজারে অবস্থিত মাহাতীর অটোরাইস মিলের মালিক। এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবায়াইৎ ফেরদৌসী শনিবার রাতেই আবদুর রহিমের মিল এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিবেশক (ডিলার) সাইফুল ইসলামের গুদাম সিলগালা করে দিয়েছেন।

র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প সূত্র জানায়, র‌্যাবের কাছে খবর ছিল ডিলার সাইফুল ইসলাম খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ নিয়ে নয়ছয় করছেন। বিশেষ করে সুবিধাভোগীদের কম দিয়ে, অনেককে না দিয়ে এবং ভুয়া কার্ডের মাধ্যমে চাল তুলে খোলা বাজারে বেশি দরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে রহিম হলেন তাঁর অন্যতম সহযোগী। রহিমের বাড়ি নরসিংদীর বেলাব উপজেলার লোহজরিকান্দা গ্রামে।

গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে র‌্যাবের একটি দল ডুমরাকান্দা বাজারে অভিযান চালায়। প্রথমে রহিমকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে নিয়ে মাহাতীর অটোরাইস মিলে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ছয় বস্তা চাল এবং একটি মুরগির খামার থেকে আরও ১৫ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। পরে অভিযান চালানো হয় ডিলারের গুদামে। সেখান থেকে চার বস্তা চাল পাওয়া যায়। ওই গুদাম থেকে ১৩টি সুবিধাভোগীর কার্ড পাওয়া যায়। পরে জানা যায় কার্ডগুলো ভুয়া।

আবদুর রহিম দাবি করেছেন, তিনি চাল কিনেছেন ডিলার সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে। পরে মিলে এনে ছাঁটাই এবং বস্তা পরিবর্তন করেন।

র‌্যাবের ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, এই ঘটনায় রাতেই র‌্যাব বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় মামলা করে। মামলায় আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।