Thank you for trying Sticky AMP!!

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিলন আহমেদ (৩২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, ডাকাতির সময় বন্দুকযুদ্ধে মিলন নিহত হন। নিহত মিলনের স্ত্রীর দাবি, দুই পুলিশ অস্ত্রের মুখে মিলনকে তুলে নিয়ে যায়।


নিহত মিলনের বাড়ি মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের লক্ষ্মীধড়দিয়া গ্রামে।

নিহত মিলনের স্ত্রী ইয়াসমিনের দাবি, গত শনিবার রাত ১১টার দিকে মিরপুরে একটি অনুষ্ঠানে মিলন গান শুনতে গিয়েছিলেন। সে সময় সিভিল ড্রেসে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন পুলিশ পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। মিলন এলাকায় তামাকের ব্যবসা করতেন।

ইয়াসমিনের ভাষ্য, ‘মিরপুর থানাসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিছি। কেউ কিছু বলতে পারেনি। গতকাল কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবেও যাওয়া হয়েছিল। সকালে শুনছি মিরপুর থানায় লাশ পইড়ি আছে।’

নিহত মিলনের স্ত্রী অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘ছয় মাস আগে মিরপুর থানার হালিম দারোগা মিলনকে ধরে গাড়ি ভাঙচুরের মামলা দিছিল। সেদিনও অস্বীকার করেছিল। দশ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে আদালতে চালান করেছিল। ছয় মাস না হতেই আবার ধরে নিয়ে গেল।’


এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিনের দাবি, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে চুনিয়াপাড়া মাঠের মধ্যে একদল ডাকাত সড়কের ওপর গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা চালাচ্ছে। টহল পুলিশ নিয়ে ওসি সেখানে অভিযানে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় ঘটনাস্থল তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ মিলনকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে গাছ কাটার একটি করাত ও চারটি ধারালো রাম দা উদ্ধার করা হয়। মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন। মিলনের লাশ মিরপুর থানায় রাখা হয়েছে।

কাজী জালাল উদ্দিন আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক শহীদুল ইসলাম ও কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম আহত হয়েছেন। মিলনের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে।