Thank you for trying Sticky AMP!!

কুষ্টিয়ায় খুনের কথা স্বীকার করে গণপিটুনি থেকে রেহাই

গায়ে রক্তমাখা কাপড়। গ্রামের ভেতর দিয়ে হাঁটছিলেন। ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে তাঁকে আটক করেন গ্রামবাসী। গণপিটুনি দিতে উদ্যত হন। পিটুনি থেকে বাঁচতে বলে দেন কিছুক্ষণ আগেই ঘটিয়ে আসা খুনের কাহিনি।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইজিবাইকচালক খুনের পর এক তরুণ এভাবেই আটক হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শ্যামপুর এলাকায় ওই খুনের ঘটনা ঘটে। ইব্রাহিম (২৩) নামের ওই তরুণ আটক হয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রাম থেকে। আর রকি (২৪) নামের আরেক তরুণ আটক হয়েছেন খুনের ঘটনাস্থল থেকেই। দুজনের বাড়িই গাংনীতে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার তরুণের নাম বিজয় হোসেন (২২)। তিনি গাংনীর মুন্দা ওলিনগর গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইজিবাইক নিয়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। বামন্দী বাজার থেকে তাঁর ইজিবাইকে চড়েন রকি, ইব্রাহিমসহ তিনজন। তাঁরা কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যাওয়ার কথা বলেন। উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মাঠে পৌঁছালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিজয়ের পেটে ও ঘাড়ে আঘাত করেন। এরপর ইজিবাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ওই সড়কে পুলিশের টহল ছিল। বিজয়ের চিৎকারে পুলিশ ও এলাকাবাসী জড়ো হতে থাকে। ঘটনাস্থলেই বিজয় মারা যান। ধাওয়া দিয়ে রকিকে আটক করেন এলাকাবাসী। পালিয়ে যান অন্য দুজন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই গাংনীর মহাম্মদপুর গ্রামে আটক হন ইব্রাহিম।

মহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ বলেন, ইব্রাহিম রক্তমাখা কাপড় পরে গ্রামের সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে তাঁকে আটক করেন। তখন গণপিটুনি থেকে বাঁচার জন্য খুনের ঘটনা বলে দেন ইব্রাহিম।

দৌলতপুর থানা ওসি আজম খান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই তাঁরা গাংনীর মহাম্মদপুর গ্রামে গিয়ে ইব্রাহিমকে আটক করে নিয়ে আসেন। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। রাতেই থানায় হত্যা মামলা করেছে নিহত বিজয়ের পরিবার।