Thank you for trying Sticky AMP!!

কুয়েতে সুদমুক্ত ঋণের নামে লোকজনকে চেকে টাকা দিয়েছেন সাংসদ

কাজী শহীদ ইসলাম ওরফে পাপুল

লক্ষীপুর-২ আসনের সাংসদ শহিদ ইসলাম (পাপুল) ‘সুদমুক্ত ঋণের’ নামে চেকের মাধ্যমে কুয়েতের বিভিন্ন ব্যক্তিকে টাকা দিয়েছেন। শহিদ ইসলামের দপ্তরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা চেকবইয়ের কপি ও বিভিন্ন নথিপত্র বিশ্লেষণ করে কুয়েতের তদন্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। বাংলাদেশের আটক সাংসদের কাছ থেকে চেক গ্রহণকারীদের তদন্ত কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, ঘুষ হিসেবে ওই লেনদেন হয়েছে।

তদন্ত সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে কুয়েতের আরবি দৈনিক আল কাবাস গতকাল শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

আল কাবাসের খবরে বলা হয়েছে, মানব ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক বাংলাদেশের সাংসদ শহিদ ইসলামের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে মদদ দেওয়ার অভিযোগে কুয়েতের তৃতীয় এক সাংসদের নাম আসছে। এরই মধ্যে শহিদ ইসলামকে মদদ দেওয়ার অভিযোগে কুয়েতের বর্তমান দুই সাংসদের নাম এসেছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁদের দায়মুক্তি প্রত্যাহার করে নিতে কুয়েতের স্পিকারকে চিঠি লিখেছেন সরকারি কৌঁসুলি।

শহিদ ইসলামকে মদদ দেওয়ার অভিযোগে তৃতীয় যে সাংসদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে, সেটি ঘটেছে তাঁর ভাইয়ের কারণে। গোয়েন্দা সূত্রগুলোর বরাতে আল কাবাস জানিয়েছে, সাংসদের প্রাধিকারকে কাজে লাগিয়ে তাঁর ভাই শহিদ ইসলামকে বিপুল সংখ্যায় কর্মী নিয়োগ ও লেনদেনে সহায়তা করেছেন। সন্দেহভাজন ওই সাংসদের ভাইয়ের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

কুয়েতের তদন্ত কর্মকর্তারা শহিদ ইসলামের দপ্তর থেকে জব্দ করা চেক বইয়ের হিসাব ও নথিপত্র বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনের পাশাপাশি চুক্তি করার প্রমাণ পেয়েছেন। বেশ কিছু চেক বিনা সুদে ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ব্যক্তিকে। কেন এবং কাদের ওই চেকগুলো দেওয়া হয়েছে, তার খোঁজে নেমেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তাঁদের ধারণা, যাঁরা শহিদ ইসলামের কাছ থেকে চেক নিয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করলেই ঋণ হিসেবে চেক বিতরণের কারণ জানা যাবে। তাই শহিদ ইসলামের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে যাঁরাই টাকা নিয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বের করা হবে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি।

আরও পড়ুন:

সাংসদ পাপুল এখন কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে