Thank you for trying Sticky AMP!!

খুলনায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

খুলনার খানজাহান আলী থানায় এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশ মামলা শেষে ওই সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। শনিবার দুপুরে বাদামতলা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যের নাম মাহমুদ আলম। তিনি খুলনার আর্মড পুলিশের নায়েক পদে কর্মরত। তাঁর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনির জামাল নগরে। মারা যাওয়া গৃহবধূর নাম জোয়ানা আকতার (২০)। তিনি পাইকগাছার কালিদাশপুরের জি এম জালাল উদ্দীনের মেয়ে ও পাইকগাছা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর তাঁদের বিয়ে হয়।

জোয়ানার বড় ভাই সোহেল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যবসার কাজে গত সপ্তাহে শিরোমণিতে বোনের বাসায় ছিলাম। এরপর গত দু-তিন দিন পাইকগাছার বাড়িতে ছিলাম। শনিবার দুপুরে আবার শিরোমণিতে বোনের স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর কর্মস্থলে যাই। এ সময় মাহমুদ (ভগ্নিপতি) বলেন, “জোয়ানা বাসায় রান্না করছে, আপনি যেতে থাকেন।” বাসায় গিয়ে দেখি, দরজা বন্ধ, ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আশপাশের লোক নিয়ে দরজা খুলে দেখি আমার বোন নিথর পড়ে আছে। গলায় কামড়ের দাগ ও ওড়না প্যাঁচানো। হাসপাতালে নিয়েও বাঁচাতে পারিনি।’

সোহেল ইসলামের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে শুক্রবার রাতে তাঁর বোন ও ভগ্নিপতির মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরেই মাহমুদ জোয়ানাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জোয়ানার গলায় কামড় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ বাদী হয়ে মাহমুদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে। তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।