Thank you for trying Sticky AMP!!

গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বজনদের দাবি হত্যা

প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় সাহিদা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নারীর পরিবারের দাবি, স্বামী নির্যাতন চালিয়ে তাঁকে হত্যা করেছে। স্বামীর দাবি, বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন সাহিদা। আজ বুধবার হাসপাতাল থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

সাহিদা উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের খাশের হাওলা গ্রামের মো. খলিলুর রহমান মৃধার (৩৯) স্ত্রী। এই দম্পতির তৌহিদ (১২) ও সুরাইয়া (৫) নামের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে।

সাহিদার বাবার নাম আহম্মেদ আলী। বাড়ি একই ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে খলিলুরের সঙ্গে সাহিদার বিয়ে হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাহিদা বেগমের সঙ্গে স্বামী খলিলুরের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী সাহিদাকে মারধর করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গ্রামবাসী শুনতে পান, সাহিদা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। অসুস্থ সাহিদাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান খলিলুর। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

সাহিদার চাচাতো ভাই নুর হোসেন খান (৫৫) অভিযোগ করেন, সাহিদার ছোট ভাইয়ের (আবদুল জব্বার) কাছ থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য খলিল প্রায়ই সাহিদাকে মারধর করতেন। দেড় মাস আগেও সাহিদা ২০ হাজার টাকা এনে স্বামী খলিলুরকে দেন। তিনি দাবি করেন, সাহিদাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, সাহিদা যদি আত্মহত্যা করেও থাকেন, তা খলিলুরের নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য করেছেন।

মারধরে কথা অস্বীকার করে স্বামী খলিলুর বলেন, ‘মারধর করিনি। বিষপানে সাহিদা আত্মহত্যা করেছে।’ তবে কেন বিষপান করেছে, এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি খলিলুর।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।