Thank you for trying Sticky AMP!!

গোয়াইনঘাট থানায় এসআইয়ের ঝুলন্ত লাশ

ছবিটি প্রতীকী

সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় নিজ কক্ষে থেকে এক উপপরিদর্শকের (এসআই) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

লাশ উদ্ধার হওয়া ওই এসআইয়ের নাম সুদীপ বড়ুয়া (৪৭)। তিনি চট্টগ্রামের রামগুনিয়া থানার সুনাইচরি গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশের ধারণা, সুদীপ আত্মহত্যা করেছেন। অন্য দিকে পরিবারের দাবি, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল মানসিকভাবে নির্যাতন করায় সুদীপ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। অবশ্য ওসি আবদুল জলিল তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পুলিশ জানায়, রোববার বেলা আড়াইটার দিকে এসআই সুদীপের স্ত্রী থানার কম্পিউটার অপারেটর আজয়ের মুঠোফোনে কল দেন। এ সময় তিনি অজয়কে জানান সুপীদকে ফোনে পাচ্ছেন না। পরে সুদীপের খোঁজ করতে তাঁর কক্ষে যান অজয়। সেখানেই ঝুলন্ত অবস্থায় সুদীপের লাশ দেখতে পান তিনি। পরে অজয় বিষয়টি থানার ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানান।

সুদীপের মেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলের কলেজের শিক্ষার্থী শতাব্দী বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাবা প্রায় ২৮ বছর ধরে পুলিশের চাকরি করছেন। শনিবার রাত নয়টার দিকে বাবার সঙ্গে শেষ কথা হয় তাঁর। তবে সে সময় তাঁদের মধ্যে মাত্র ৩৯ সেকেন্ড কথা হয়েছিল। তাঁর বাবা ডিউটিতে আছেন বলে ফোন রেখে দেন। তবে এর আগে কয়েক বার মেয়েকে সুদীপ জানিয়েছেন, থানার ওসি দিন-রাত তাঁকে ডিউটি করাচ্ছেন এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করছেন। সুদীপ দিন রাত ডিউটি করায় ঠিক মতো ঘুমতে পাচ্ছেন না। তবে কেন ওসি এমন মানসিক নির্যাতন করতেন সে ব্যাপারে মেয়েকে কিছু জানাননি সুদীপ।

শতাব্দী বড়ুয়া বলেন, ঈদের পর ওই থানা থেকে অন্য থানায় বদলি হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা। কয়েক দিন আগেও তাঁর বাবাকে ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে গিয়েছিলেন।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল সুদীপের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশের চাকরিতে নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। থানার ডিউটি বণ্টন করা রয়েছে। সেভাবেই সবাই সমান ডিউটি করেন।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, গোয়াইনঘাট থানায় দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এসআই সুদীপ আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে তিনিসহ সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে সুপার মাহবুবুল বলেন, থানায় কর্মকর্তাদের সংকট আছে। তবে কর্মকর্তাদের ডিউটি ভাগ করা আছে। সেই অনুযায়ী সবাই কাজ করেন। সেখানে কম-বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। পুলিশের চাকরিতে কষ্ট আছে। এ নিয়ে কারও কারও মানসিক চাপ থাকতেও পারে। তাই বলে আত্মহত্যা করার কথা নয়। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।