Thank you for trying Sticky AMP!!

চবিতে গাছ ও পাহাড় কাটার প্রমাণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর

পাহাড়ে কেটে রাখা হয়েছে গাছ। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে পাহাড় ও গাছ কাটার প্রমাণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আজ সোমবার ক্যাম্পাসে সরেজমিন পরিদর্শন করে এই প্রমাণ পায় অধিদপ্তরের দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলের প্রধান ও অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক জমির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম আলোতে গাছ ও পাহাড় কাটার সংবাদের সূত্র ধরে ক্যাম্পাসের আশপাশে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে পাহাড় ও গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, জীববিজ্ঞান অনুষদের পশ্চিম দিকের পাহাড়ে অন্তত ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছেন তাঁরা।

এর আগে গতকাল রোববার পাহাড় ও গাছ কাটার বিষয়টি প্রতিরোধ করতে গঠিত কমিটির তিন সদস্য পদত্যাগ করেন।

ক্যাম্পাসের বনজ গাছপালা সংরক্ষণ ও গাছসহ যেকোনো ধরনের দ্রব্যাদি ক্যাম্পাসের বাইরে নেওয়া এবং নির্বিচারে গাছকাটার বিষয়টি প্রতিরোধ করতে গত ২৯ জানুয়ারি এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসানকে। এতে সদস্য হন সহকারী প্রক্টর এস এম জিয়াউল ইসলাম, মোহাম্মদ রিফাত রহমান, সম্পত্তি (এস্টেট) শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাহাবুব হারুন চৌধুরী, সেকশন অফিসার মো. বদিউল আলম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পদত্যাগ করেন।

প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত চার বছরে ক্যাম্পাসের আশপাশের পাহাড়ি এলাকা থেকে অন্তত সাত হাজার গাছ কাটা হয়। গাছ নিতে পাহাড় কেটে তৈরি করা হয় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা। এ নিয়ে গত শনিবার প্রথম আলোতে ‘চার বছরে সাত হাজার গাছ সাবাড়’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশ হওয়ার একদিন পরেই তদারকি কমিটির সদস্যরা পদত্যাগ করেন।

নিয়মিত গাছ কাটা ও পরিবহনে যুক্ত শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত চার বছরে বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসের মূল ফটক দিয়ে কাটা গাছ বের করার অনুমতি নেন মো. বজল নামে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর এলাকার এক ব্যক্তি। সর্বশেষ গত বছরের ৩১ অক্টোবর মো. বজল ক্যাম্পাসের দক্ষিণ দিকের পাহাড়তলী এলাকা থেকে নিজের বাগানের গাছ দাবি করে দুই হাজার টুকরা আকাশি ও মেহগনি কেটে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেন। এই অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি (এস্টেট) শাখা ও নিরাপত্তা দপ্তর। এর আগে গত বছরের ১৬ জানুয়ারি তিনি পশ্চিম দিকের নশাবনপাহাড়ি এলাকা থেকে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেন। বজল ছাড়াও এই গাছ কাটায় জড়িত আছেন মো. হানিফ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে যুবলীগের নেতা দাবি করেন।