Thank you for trying Sticky AMP!!

চাঁদাবাজির মামলায় শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১

ঢাকার আশুলিয়া থানার পুলিশ চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগে আজ মঙ্গলবার শ্রমিক লীগের স্থানীয় দুই নেতাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে নিতে সাভারের সাংসদ এনামুর রহমানের ভাই মনিরুজ্জামান খান তদবির করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন আশুলিয়া থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল দেওয়ান (৩২), সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান (২৯) এবং রাসেলের সহযোগী সান সরকার (২৮), রিপন মাহমুদ (২৮), জনি দেওয়ান (১৮), উজ্জ্বল বিশ্বাস (২০), রাজু আহাম্মেদ (১৮), নূরুল ইসলাম (২৮), লালন শেখ (৩০), নজিম (২৭) ও বিপ্লব (৪০)। ছয় মাস আগেও রাসেলকে অস্ত্রসহ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করেছিল বলে আশুলিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাসেল দেওয়ানসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে পলাশ পরিবহনসহ বিভিন্ন পরিবহনের বাসে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। গতকাল সোমবার বিকেলে তাঁরা আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পলাশ পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে ক্যাশবাক্স ভেঙে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন। আরও ১০ লাখ টাকার জন্য ওই কাউন্টারের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনায় আজ বিকেলে পলাশ পরিবহনের চেয়ারম্যান তারা মিয়া আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। এরপর সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেল দেওয়ানসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মনিরুজ্জামানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম বলেন, গ্রেপ্তারের পরপরই আসামিদের ছাড়াতে তাঁর মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিয়েছেন সাংসদের ভাই মনিরুজ্জামান খান।
আশুলিয়া ও ধামরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল শেখ বলেন, মাস ছয়েক আগেও রাসেল অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।