Thank you for trying Sticky AMP!!

চাকরির জন্য বের হয়ে সাড়ে ৫ মাস ধরে নিখোঁজ কলেজছাত্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মো. জাহিদ হাসান নামের এক কলেজছাত্র সাড়ে পাঁচ মাস ধরে নিখোঁজ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মো. জাহিদ হাসান (১৮) নামের এক কলেজছাত্র সাড়ে পাঁচ মাস ধরে নিখোঁজ আছেন। চাকরির জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি তিনি। এদিকে ছুটিতে বেড়াতে আসা বাবা ছেলের শোকে অসুস্থ হয়ে আর বিদেশ যেতে পারেননি। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও পুলিশ তাঁকে খুঁজে বের করতে পারেনি।

জাহিদ হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের মিরতলা গ্রামের প্রবাসী মো. জাহাঙ্গীর আলম খানের ছেলে। তিনি ২০১৮ সালে এসএসসি পাস করে কসবা টি আলী কলেজে ভর্তি হন। নিখোঁজের সময় তিনি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।

জাহিদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম খান সৌদি আরবে চাকরি করতেন। ছয় মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। ছেলে জাহিদ হাসান ঢাকার ডিসেন্ট ফোর্স সার্ভিস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানিতে সুপারভাইজার পদে চাকরি পেয়েছেন বলে পরিবারকে জানান। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চাকরিতে যোগদানের জন্য বাড়ি থেকে সকাল সাতটায় বের হয়ে যান। ওই দিন বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকার সায়েদাবাদে পৌঁছেছেন বলে তিনি মাকে জানান। মহাখালী পৌঁছে ফোন করবেন বলে বলেছিলেন। কিন্তু আর ফোন করেননি। সেই থেকে নিখোঁজ জাহিদ হাসান। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর কসবা থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল।

এদিকে ছুটিতে আসা বাবা জাহাঙ্গীর আলম ছেলের শোকে অসুস্থ হয়ে পড়ে আর সৌদি আরব যাননি। তিনি বলেন, জাহিদ হাসান তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। যে প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন জাহিদ, ঢাকায় সে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর দাবি, ‘কেউ আমার ছেলেকে আটকে রেখেছে। নইলে আমার ছেলে ফোন না করে থাকত না।’

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, নিখোঁজ কলেজছাত্রের মুঠোফোনের কললিস্ট বের করা হয়েছে। তাঁর মুঠোফোন নম্বরে একটি ইমু নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে। এটিকে শনাক্ত করে তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।