Thank you for trying Sticky AMP!!

চারঘাটে মদ পানে পাঁচজনের মৃত্যু

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় মদ পানে পাঁচজন মারা গেছেন। গত সোমবার সকাল থেকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সময়ে তাঁদের মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সরদহ কুঠিপাড়া গ্রামের মাহতাব উদ্দিন (৫৫), মুক্তারপুর গাংপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন (৫০) এবং সরদহ পুলিশ একাডেমি কলোনি এলাকার জওহরলাল (৭০), বুদনি রানি (৬৫) ও অনিল কুমার (৭২)। তাঁদের মধ্যে মাহতাবকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, মাহতাব তাঁর বাড়িতে দেশি মদ বিক্রি করতেন। নিজেও পান করতেন। সোমবার সকালে মদ পান করার পর তিনি মারা যান। তবে তখন বিষয়টি কেউ বুঝতে পারেনি। তাঁর বাড়িতে বিক্রির জন্য রাখা একই মদ হেলাল, জওহরলাল, বুদনি রানি ও অনিল কুমার ওই দিন সন্ধ্যায় পান করলে রাতেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে জওহরলাল মারা যান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত একটার দিকে হেলাল এবং রাত দুইটার দিকে বুদনি রানি মারা যান। আর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুরে মারা যান অনিল।
তবে চারঘাট থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ মুঠোফোনে গতকাল বলেন, ‘হেলাল নামের একজন মারা গেছেন, তাঁর হার্টের সমস্যা ছিল।’ অন্যদের মৃত্যুর খবর তিনি নিশ্চিত করতে পারলেও মদ পানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি। চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাইফুল ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, হেলাল তাঁদের কাছে মদ পানের কথা স্বীকার করেননি। তাঁর হার্টের সমস্যা ছিল। তবে পরে অনিল মদের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, হেলালও মদ পান করেছিলেন।
সাইফুল ফেরদৌস বলেন, তাঁরা আসলে মিথাইল অ্যালকোহল বা উড স্পিরিট পান করেছিলেন। এই স্পিরিট পান করলে মুখে তেমন গন্ধ থাকে না, তবে শ্বাস-প্রশ্বাসের হার ও দৃষ্টিশক্তি কমে আসে। নিহত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও একই লক্ষণ দেখা গিয়েছিল।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোশাররফ হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, অনিলের মৃত্যুর কারণ হিসেবে মদ পানের কথা লেখা হয়েছে। তাঁর ময়নাতদন্ত চলছে।