Thank you for trying Sticky AMP!!

চোলাই মদে 'ডুবে' ছিল বাড়িগুলো

রাজধানীর ভাটারার জগন্নাথপুর এলাকার তিনটি বাড়িতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বাড়িগুলো একেবারে গলির ভেতরে। ভাটারা প্রধান সড়ক হয়ে বাঁ পাশে জগন্নাথপুর এলাকায় এসব ছোট বাড়ি। এ জন্য সব সময় লোকজনের চলাচলে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু দিন গড়িয়ে রাত হলেই এলাকাটির পরিবেশ বদলে যায়। অচেনা লোকের আনাগোনা বাড়তে থাকে। কারণ, বাড়িগুলো থেকে বিক্রি হয় চোলাই মদ। শুধু মদ বেচাকেনা নয়, রীতিমতো মদ তৈরি করা হয়।

জগন্নাথপুরের এসব বাড়ি থেকে ৩০ হাজার লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়েছে। মদের ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় প্রধান (ঢাকা) ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে ক/ ২৮ /এ/ ৭ নম্বর বাড়িসহ পাশের আরও দুটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব মদ জব্দ করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। অভিযানে এসব সংস্থার ৮৭ জন সদস্য অংশ নেন। 

এই অভিযানে আরও ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ঢাকা মেট্রো) মুকুল জ্যোতি চাকমা, সহকারী পরিচালক (উত্তর) খুরশীদ আলম ও সহকারী পরিচালক (দক্ষিণ) শামসুল আলম।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অভিযান চালানো তিনটি বাড়িতে প্রায় ২৫টি ছোট ঘর রয়েছে। এসব ঘরই চোলাই মদের কারখানা। পচা ভাতের সঙ্গে কেমিক্যাল মিশিয়ে এই মদ তৈরি করা হয়। প্লাস্টিকের ড্রামে তৈরি করা মদ রাখা হতো। গ্লাসে করে ক্রেতাদের কাছে এই মদ বিক্রি করা হতো। মদ বিক্রি ছাড়াও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরাও জগন্নাথপুরের এই বাড়িতে আশ্রয় নেন বলে জানা গেছে।


সহকারী পরিচালক (উত্তর) খুরশীদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, বহুদিন ধরে খবর ছিল যে ভাটারার জগন্নাথপুর এলাকায় চোলাই মদের ব্যবসা হচ্ছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার ও ৩০ হাজার লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, জব্দ হওয়া মদ ঘটনাস্থলেই কেরোসিন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযান চালানো একটি বাড়ির হোল্ডিং নম্বর জানা গেছে। এর মালিক মো. সেলিম। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। অবৈধ এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে বাড়িগুলোর মালিক বা অন্য কেউ জড়িত থাকার বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।