Thank you for trying Sticky AMP!!

ছাত্রলীগের দুই পক্ষে মারামারি, আহত ৯

তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকনিয়ন্ত্রিত হলের কিছু কর্মীর মধ্যে মারামারি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সংঘটিত এ ঘটনায় নয়জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হল সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অবস্থান নিয়ে সভাপতি সবুজ কাজী ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রুবেলের কিছু সমর্থকের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কামাল-রঞ্জিত মার্কেটে সাধারণ সম্পাদকনিয়ন্ত্রিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্রলীগের কিছু কর্মী সভাপতিনিয়ন্ত্রিত শহীদ নাজমুল আহসান হলের কর্মীদের ওপর চড়াও হন। এ সময় দুই পক্ষের মারামারিতে আটজন আহত হন। পরে এ ঘটনায় সভাপতিনিয়ন্ত্রিত নাজমুল আহসান হলে রাত নয়টার দিকে সাধারণ সম্পাদকের সমর্থক সন্দেহে কৃষি অনুষদের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শুভ রায়কে বেধড়ক পেটানো হয়। পেটানোর পর তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতেও বাধা দেন প্রতিপক্ষের কর্মীরা। ঘটনাটি হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমানকে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এমনকি হলেও আসেননি। পরে রাত ১০টার দিকে দুই সহকারী প্রক্টর এসে শুভকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তখন শুভকে দেখতে যান প্রাধ্যক্ষ।
জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ কাজী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রুবেল প্রায় একই সুরে কথা বলেন। তাঁরা বলেন, কিছু কর্মীর ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে ঘটনাগুলো ঘটেছে। দুই পক্ষকে ডেকে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত না বলে তাঁদের দাবি।
প্রক্টর এ কে এম জাকির হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তাঁর জন্য বরাদ্দ করা গাড়িটি না পাওয়ায় তিনি তাৎক্ষণিক হলে যেতে পারেননি। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেছেন।