Thank you for trying Sticky AMP!!

ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, বাড়িতে আগুন

প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড়ে এক কিশোরের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার পর অভিযুক্ত কিশোর ও তার পরিবার স্কুলছাত্রীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার দুপুরে স্কুলছাত্রীর বাবা অভিযুক্ত কিশোর ও তার মা-বাবাকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। স্কুলছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। তাকে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ, স্কুলছাত্রীর পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও এক প্রতিবেশীর বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায় ওই শিশু। এ সময় প্রতিবেশী ওই কিশোর শিশুটিকে নিজেদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে শিশুটির মা-বাবা বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত কিশোরের মা-বাবার কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে দুই পরিবারের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান মা-বাবা। এ সময় মা-বাবাকে নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ির ধান মজুত রাখার ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় অভিযুক্ত কিশোর। আগুন দেখে স্থানীয় লোকজন পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্কুলছাত্রীর মা বলেন, ‘ওই সময় ঘরে গৃহশিক্ষক না থাকার সুযোগে ছেলেটি আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজনসহ আমি দৌড়ে যাই। পরে আমার মেয়ের হাতে টাকা দেখতে পাই। জানতে পারি, ধর্ষণের সময় যেন চিৎকার না করে, সে কারণে ওই ছেলে আমার মেয়ের হাতে টাকা গুঁজে দিয়েছে।’

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা নিরঞ্জন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকায় একটি বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে সেখানে যাই। একটি গোলাঘরে আগুন লেগে বেশ কিছু ধান পুড়ে গেছে। আমরা যাওয়ার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু আককাস আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত কিশোর ও তার মা-বাবাকে আসামি করে আজ থানায় মামলা করেছেন। শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আদালতের মাধ্যমে জবানবন্দি নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।