Thank you for trying Sticky AMP!!

ছাত্রীর চোখে স্প্রে, ছাত্র আটক

পাঠদান শুরু হবে। ঠিক এ সময় হঠাৎ শোরগোল। শ্রেণিকক্ষের বারান্দায় লুটিয়ে পড়ে এক ছাত্রী। সহপাঠীরা জানায়, ছাত্রীর চোখে ‘স্প্রে’ মেরেছে সহপাঠী আরেক ছাত্র। অবচেতন অবস্থায় ছাত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পাশাপাশি ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার তৈয়ব আলী কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, স্প্রে নিক্ষেপে আহত ছাত্রী নবম শ্রেণির। তার ওপর স্প্রে নিক্ষেপকারী ছাত্রও নবম শ্রেণিতে পড়ে। নবম শ্রেণির পাঠদান শুরুর কিছুক্ষণ আগে ওই ছাত্র ও ছাত্রীর মধ্যে বচসার জের থেকে এ ঘটনা। স্প্রে নিক্ষেপ করার পরই ছাত্রী চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় তার কী হয়েছে, এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছিল না। অবচেতন অবস্থায় ছাত্রীকে প্রথম জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ বলেন, ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পর ছাত্রীর জ্ঞান ফেরে। তখন সে তার চোখে স্প্রে মারার বিষয়টি অভিভাবকদের জানায়। তবে কী কারণে স্প্রে মারা হয়েছে, এ বিষয়ে সে কিছু বলেনি।

জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রুহীনি রঞ্জন পাল বলেন, শ্রেণিকক্ষে বডি স্প্রে নিয়ে আসা এবং এটি ছাত্রীর গায়ে নিক্ষেপ করার ঘটনাটি কোনোভাবে শোভন নয়। তাই ছাত্রীর প্রাথমিক অবস্থা বিবেচনায় পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ওই ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাইনুল জাকির প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রীর অবচেতন অবস্থা বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষসহ সবার ধারণা ছিল, ক্ষতিকর কোনো কিছু স্প্রে করা হয়েছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দেখা গেছে, সেটি বডি স্প্রে। ছাত্রটি জানায় যে সে মজা করে এটি স্প্রে করেছিল। উত্ত্যক্ত করার ঘটনা কিনা, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। পাশাপাশি ছাত্রী ও ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।